ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লেবু চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ধামরাইয়ের চাষিদের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৫:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮
  • ৩৫২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় লেবুর বাম্পার ফলন হয়েছে ঢাকার ধামরাইয়ে। ঢাকার সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ওই উপজেলার লেবু প্রতি রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। এজন্য অল্প খরচে ভালো দাম পাওয়ায় লেবু চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ধামরাইয়ের চাষিদের। শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লেবু চাষিদের বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।

ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জমিতে লাগানো গাছ থেকে লেবু সংগ্রহ করেন চাষিরা। এরপর তারা আশ-পাশের কোনো মাঠ বা গাছের নিচে বসে তা বাজারজাতের জন্য বাছাই করে খাচি তুলেন। পরে তা ঢাকাসহ আশ-পাশের বিভিন্ন জেলায় পাঠায়। ধামরাই উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ছয় শতাধিক হেক্টর জমিতে লেবুর আবাদ হয়েছে চলতি মৌসুমে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই বাণিজ্যিকভাবে লেবুর আবাদ হয়। তবে যাদবপুর, বালিয়া, বাইশাকান্দা, চৌহাট, কুশুরা এবং গাংগুটিয়া ইউনিয়নে লেবুর আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি।

উপজেলার বালিয়া পূর্বপাড়া এলাকার আক্কাস আলী (চাষি) সাংবাদিককে জানান, জমি তৈরি ও চারা বপন থেকে শুরু করে ফল পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় দুই বছর। এরপর জমিতে লাগানো গাছ থেকে লেবু সংগ্রহ করা যায়। এতে এক বিঘা জমিতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আর সেই জমি থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত লেবু সংগ্রহ করা যায়।

একই এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে লেবু চাষি জুলহাস উদ্দিন সাংবাদিককে জানান, লেবু চাষে শুরুর দিকে খরচ একটু বেশি হয়। তবে পরের দিকের খরচ তুলনামূলক কম। প্রতিবছর এক বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর জমি থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করা যায়। এতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে লেবুর আবাদে ভালো লাভবান হওয়া যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গাংগুটিয়া এলাকার লেবুচাষি মফেজ আলী সাংবাদিককে জানান, লেবু চাষের শুরুতে কষ্ট হলেও পরে তেমন কষ্ট নেই। নিয়মিতভাবে লেবুর বাগান পরিষ্কার রেখে পরিমাণ অনুযায়ী পানি ও ভিটামিন প্রয়োগ করলে লেবুর ফলন ভালো পাওয়া যায়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে লেবু চাষে অল্প খরচে অধিক মুনাফা হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান সিকদার সাংবাদিককে জানান, নদীর আশ-পাশের জমিগুলো আগে পতিত থাকতো। বালু জমিতে তেমন ফসল হতো না। এখন ওইসব জমিতে লেবুর আবাদ হয়। ফলন ভালো হওয়ায় দামও বেশ ভালো। এতে করে বেশ লাভবান ধামরাইয়ের লেবু চাষিরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

লেবু চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ধামরাইয়ের চাষিদের

আপডেট টাইম : ১১:৫৫:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় লেবুর বাম্পার ফলন হয়েছে ঢাকার ধামরাইয়ে। ঢাকার সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ওই উপজেলার লেবু প্রতি রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। এজন্য অল্প খরচে ভালো দাম পাওয়ায় লেবু চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ধামরাইয়ের চাষিদের। শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লেবু চাষিদের বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।

ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জমিতে লাগানো গাছ থেকে লেবু সংগ্রহ করেন চাষিরা। এরপর তারা আশ-পাশের কোনো মাঠ বা গাছের নিচে বসে তা বাজারজাতের জন্য বাছাই করে খাচি তুলেন। পরে তা ঢাকাসহ আশ-পাশের বিভিন্ন জেলায় পাঠায়। ধামরাই উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ছয় শতাধিক হেক্টর জমিতে লেবুর আবাদ হয়েছে চলতি মৌসুমে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই বাণিজ্যিকভাবে লেবুর আবাদ হয়। তবে যাদবপুর, বালিয়া, বাইশাকান্দা, চৌহাট, কুশুরা এবং গাংগুটিয়া ইউনিয়নে লেবুর আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি।

উপজেলার বালিয়া পূর্বপাড়া এলাকার আক্কাস আলী (চাষি) সাংবাদিককে জানান, জমি তৈরি ও চারা বপন থেকে শুরু করে ফল পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় দুই বছর। এরপর জমিতে লাগানো গাছ থেকে লেবু সংগ্রহ করা যায়। এতে এক বিঘা জমিতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আর সেই জমি থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত লেবু সংগ্রহ করা যায়।

একই এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে লেবু চাষি জুলহাস উদ্দিন সাংবাদিককে জানান, লেবু চাষে শুরুর দিকে খরচ একটু বেশি হয়। তবে পরের দিকের খরচ তুলনামূলক কম। প্রতিবছর এক বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর জমি থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করা যায়। এতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে লেবুর আবাদে ভালো লাভবান হওয়া যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গাংগুটিয়া এলাকার লেবুচাষি মফেজ আলী সাংবাদিককে জানান, লেবু চাষের শুরুতে কষ্ট হলেও পরে তেমন কষ্ট নেই। নিয়মিতভাবে লেবুর বাগান পরিষ্কার রেখে পরিমাণ অনুযায়ী পানি ও ভিটামিন প্রয়োগ করলে লেবুর ফলন ভালো পাওয়া যায়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে লেবু চাষে অল্প খরচে অধিক মুনাফা হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান সিকদার সাংবাদিককে জানান, নদীর আশ-পাশের জমিগুলো আগে পতিত থাকতো। বালু জমিতে তেমন ফসল হতো না। এখন ওইসব জমিতে লেবুর আবাদ হয়। ফলন ভালো হওয়ায় দামও বেশ ভালো। এতে করে বেশ লাভবান ধামরাইয়ের লেবু চাষিরা।