ঈদের ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার থেকে আবারো আন্দোলন শুরু করছেন শিক্ষকরা। অষ্টম বেতন স্কেলে বেতন ও পদমর্যাদা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা নিরসন এবং অন্যান্য দাবিতে শিক্ষকেরা এই আন্দোলনে নেমেছেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচটি সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্যজোট আজ অর্ধদিবস ও শনিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবে।
তারা সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে রাখা, টাইম স্কেল বহালসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করছে।
জোটভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেন, ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস ও শনিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।
তিনি বলেন, ১৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শামছুদ্দীন।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি আন্দোলন করছে প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা, জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে।
তারা এসব দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু দাবি পূরণ হয়নি।
সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক এস এম ছায়িদ উল্লা বলেন, দাবি পূরণ না হওয়ায় আজ থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকদের চেয়ার কালো কাপড়ে ঢেকে পাশে কোনো চেয়ারে বসে কাজ করবেন প্রধান শিক্ষকেরা। এছাড়া ৩ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে।
এরপরও দাবি পূরণ না হলে ৬ অক্টোবর থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।
পৃথক বেতনকাঠামো ও অষ্টম স্কেলে সৃষ্ট গ্রেড সমস্যা নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন ৩৭টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তারা সর্বশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঈদের ছুটি শুরু হয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ৬ অক্টোবর ফেডারেশনের সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি ও কর্মকৌশল ঠিক করবেন তারা।
সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখা এবং শিক্ষকদের পদমর্যাদা উন্নীতকরণের দাবিতে সরকারি কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষকেরা ১৩ ও ১৪ অক্টোবর ক্লাস বর্জন করবেন।
১৮ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (শিক্ষা ভবন) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।