ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ির আঙ্গিনায় জাম গাছ থাকলে ঘরের আসবাবপত্রে ঘুন ধরেনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮
  • ৪৪২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাড়ির আঙ্গিনায় দুই তিনটি জাম গাছ থাকলে ঘরের কাঁঠের আসবাবপত্রে ঘুন ধরেনা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোহাম্মদ নজমুল ইসলামের বরাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ এ তথ্য জানান। অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম বলেন, প্রধান মন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশনায় জাম গাছ এবং জামের ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। এই সঙ্গে টক বরই, তেতুল ইত্যাদি অপ্রচলিত ফলের উন্নয়নেও নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এবার ৫০,০০০ চারা উৎপাদন এবং বিতরণ করা হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও নার্সারির মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, এবার জামের চেয়ে জামের বীচির দাম বেশি। জাম বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। আর জামের বীচি কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কিনেছে মানুষ। আমাদের দেশে রয়েছে চীর হরিৎ জামের অপার ভান্ডর। এ যাবত আমরা জামের ১৬ রকমের জাতের কথা জেনেছি। এর মধ্যে অনেক ভাল ভাল জাত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আঙ্গুলের ও লিচুর আকারের জামের ভ্যারাইটি। এর মধ্যে চেরি ফলের মতো একটি জাত রয়েছে। যার বীচি অত্যন্ত ছোট। বলতে গেলে এই জাতটিতে বীচি প্রায় নেই বা শূণ্য, পুরোটাই শাষে ভরা।

চীর হরিৎ জামের গাছ কখনোই পাতা শূণ্য হয়না। পরিবেশ রক্ষার জন্য এটি অত্যন্ত উপযুক্ত। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিভিন্ন সময়ে জামের সম্প্রসারণ এবং জামের উন্নত জাত উদ্ভাবনের নির্দেশনা দিয়েছেন। জাম নিয়ে এ যাবত কোনো গবেষণা হয়নি। গবেষণা হওয়া দরকার। পুষ্টি ছাড়াও জামে রয়েছে অনেক ঔষধিগুণ। ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য জামের বীচি উপকারি। এবছর ১০,০০০ জামের চারা দেশের বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

উত্তম আসবপত্র তৈরীসহ জাম কাঁঠ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দেশে জাম ও জাম গাছের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। অন্যান্য বার ১৫ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে গেলেও এবার মে ও জুন মাস জুড়েই বাজারে জাম ছিল। এবার জামের উৎপাদন আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। উল্লেখ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে গত ২০১৬-২০১৭ সালে দেশে ৬৭৪৫ হেক্টর জমিতে ৫৮৭৪৬ মেট্রিক টন জাম উৎপাদন হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাড়ির আঙ্গিনায় জাম গাছ থাকলে ঘরের আসবাবপত্রে ঘুন ধরেনা

আপডেট টাইম : ১২:৪১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাড়ির আঙ্গিনায় দুই তিনটি জাম গাছ থাকলে ঘরের কাঁঠের আসবাবপত্রে ঘুন ধরেনা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোহাম্মদ নজমুল ইসলামের বরাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ এ তথ্য জানান। অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম বলেন, প্রধান মন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশনায় জাম গাছ এবং জামের ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। এই সঙ্গে টক বরই, তেতুল ইত্যাদি অপ্রচলিত ফলের উন্নয়নেও নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এবার ৫০,০০০ চারা উৎপাদন এবং বিতরণ করা হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও নার্সারির মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, এবার জামের চেয়ে জামের বীচির দাম বেশি। জাম বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। আর জামের বীচি কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কিনেছে মানুষ। আমাদের দেশে রয়েছে চীর হরিৎ জামের অপার ভান্ডর। এ যাবত আমরা জামের ১৬ রকমের জাতের কথা জেনেছি। এর মধ্যে অনেক ভাল ভাল জাত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আঙ্গুলের ও লিচুর আকারের জামের ভ্যারাইটি। এর মধ্যে চেরি ফলের মতো একটি জাত রয়েছে। যার বীচি অত্যন্ত ছোট। বলতে গেলে এই জাতটিতে বীচি প্রায় নেই বা শূণ্য, পুরোটাই শাষে ভরা।

চীর হরিৎ জামের গাছ কখনোই পাতা শূণ্য হয়না। পরিবেশ রক্ষার জন্য এটি অত্যন্ত উপযুক্ত। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিভিন্ন সময়ে জামের সম্প্রসারণ এবং জামের উন্নত জাত উদ্ভাবনের নির্দেশনা দিয়েছেন। জাম নিয়ে এ যাবত কোনো গবেষণা হয়নি। গবেষণা হওয়া দরকার। পুষ্টি ছাড়াও জামে রয়েছে অনেক ঔষধিগুণ। ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য জামের বীচি উপকারি। এবছর ১০,০০০ জামের চারা দেশের বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

উত্তম আসবপত্র তৈরীসহ জাম কাঁঠ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দেশে জাম ও জাম গাছের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। অন্যান্য বার ১৫ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে গেলেও এবার মে ও জুন মাস জুড়েই বাজারে জাম ছিল। এবার জামের উৎপাদন আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। উল্লেখ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে গত ২০১৬-২০১৭ সালে দেশে ৬৭৪৫ হেক্টর জমিতে ৫৮৭৪৬ মেট্রিক টন জাম উৎপাদন হয়েছিল।