ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষি শুমারিতে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ৪৪টি ফসল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮
  • ৩৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আদম শুমারি থেকে শুরু করে কৃষি, অর্থনৈতিক, গড় আয়ুসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শুমারির কাজ করে থাকে বাংলদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি ১০ বছর পরপর দেশে কৃষি শুমারি পরিচালনা করে বিবিএস। সর্বশেষ ২০০৮ সালে এ শুমারি করা হয়েছিলো। বর্তমানে ২০১৮ সালের কৃষি শুমারির কাজে তৎপর হয়ে উঠেছে পরিকল্পনা কমিশনের আওতাধীন সংস্থাটি।

গত ২০০৮ সালে ১২৬টি কৃষি পণ্যের ওপর শুমারি করা হলেও কৃষি পণ্যে ভিন্নতা আসায় বর্তমানে নতুন করে ৪৪টি ফসল যুক্ত করা হচ্ছে এবারের শুমারিতে। ৪৪টি নতুন ফলের মধ্যে দেশের কৃষিপণ্যের তালিকায় বিদেশি ফল ড্রাগন ও স্ট্রবেরিও যুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের এ দুটি ফল বেশ মুখরোচক। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিধায় কৃষি শুমারিতে এগুলো যুক্ত করা হচ্ছে। বিবিএস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবিএস সূত্র জানিয়েছে, কৃষি শুমারিতে মোট ১২৬টি ফসল বা কৃষিপণ্যের তালিকায় গাঁজা, আফিম, ধুতরা ও সিনকোনা ছিল। কিন্তু সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় এবার এসব পণ্য বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই নতুন করে সেখানে যুক্ত করা হচ্ছে ড্রাগন ও স্ট্রবেরি। এ বিষয়ে প্রকল্পের পরিচালক যুগ্ম-সচিব জাফর আহাম্মদ খান বলেন, ২০০৮ সালের শুমারিতে ১২৬টি কৃষি পণ্য ছিলো।

বর্তমানে কৃষির উন্নয়নে অনেক ভিন্নতা এসেছে। এজন্য আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি নতুন করে আরো প্রায় ৪৪টি কৃষি পণ্য যুক্ত করতে হবে। ফসলের ভিন্নতার ফলেই এখন কৃষি পণ্য ১৭০টি দাঁড়াবে। তবে এ প্রকল্পটির অনুমোদিত ডিপিপিতে ১২৬টি কৃষি পণ্যই উল্লেখ করা আছে। যেহেতু ফসলের সংখ্যা বেড়েছে সেহেতু প্রকল্পটি সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে। তিনি বলেন, ১৭০টি কৃষিপণ্যকে মোটা দাগে ৮টি উপখাতে ভাগ করা হয়েছে।

এসব উপখাত হচ্ছে- দানা, ডাল, তৈল বীজ, আঁশ, শাক, মসলা, ফল, ফুল জাতীয় ইত্যাদি পণ্য। তবে পরবর্তী শুমারিতে জাতীয় কৃষিপণ্যের মধ্যে শুধু তামাক, চা, পান ও সুপারি রাখা হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে এ প্রকল্পটির শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী জনশুমারি ও অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস ও প্রাণিসম্পদ) শুমারির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই শুমারিতে নেশা জাতীয় পণ্য বাদ দেওয়া হবে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৭, ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কৃষি শুমারিতে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ৪৪টি ফসল

আপডেট টাইম : ১১:০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আদম শুমারি থেকে শুরু করে কৃষি, অর্থনৈতিক, গড় আয়ুসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শুমারির কাজ করে থাকে বাংলদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি ১০ বছর পরপর দেশে কৃষি শুমারি পরিচালনা করে বিবিএস। সর্বশেষ ২০০৮ সালে এ শুমারি করা হয়েছিলো। বর্তমানে ২০১৮ সালের কৃষি শুমারির কাজে তৎপর হয়ে উঠেছে পরিকল্পনা কমিশনের আওতাধীন সংস্থাটি।

গত ২০০৮ সালে ১২৬টি কৃষি পণ্যের ওপর শুমারি করা হলেও কৃষি পণ্যে ভিন্নতা আসায় বর্তমানে নতুন করে ৪৪টি ফসল যুক্ত করা হচ্ছে এবারের শুমারিতে। ৪৪টি নতুন ফলের মধ্যে দেশের কৃষিপণ্যের তালিকায় বিদেশি ফল ড্রাগন ও স্ট্রবেরিও যুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের এ দুটি ফল বেশ মুখরোচক। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিধায় কৃষি শুমারিতে এগুলো যুক্ত করা হচ্ছে। বিবিএস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবিএস সূত্র জানিয়েছে, কৃষি শুমারিতে মোট ১২৬টি ফসল বা কৃষিপণ্যের তালিকায় গাঁজা, আফিম, ধুতরা ও সিনকোনা ছিল। কিন্তু সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় এবার এসব পণ্য বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই নতুন করে সেখানে যুক্ত করা হচ্ছে ড্রাগন ও স্ট্রবেরি। এ বিষয়ে প্রকল্পের পরিচালক যুগ্ম-সচিব জাফর আহাম্মদ খান বলেন, ২০০৮ সালের শুমারিতে ১২৬টি কৃষি পণ্য ছিলো।

বর্তমানে কৃষির উন্নয়নে অনেক ভিন্নতা এসেছে। এজন্য আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি নতুন করে আরো প্রায় ৪৪টি কৃষি পণ্য যুক্ত করতে হবে। ফসলের ভিন্নতার ফলেই এখন কৃষি পণ্য ১৭০টি দাঁড়াবে। তবে এ প্রকল্পটির অনুমোদিত ডিপিপিতে ১২৬টি কৃষি পণ্যই উল্লেখ করা আছে। যেহেতু ফসলের সংখ্যা বেড়েছে সেহেতু প্রকল্পটি সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে। তিনি বলেন, ১৭০টি কৃষিপণ্যকে মোটা দাগে ৮টি উপখাতে ভাগ করা হয়েছে।

এসব উপখাত হচ্ছে- দানা, ডাল, তৈল বীজ, আঁশ, শাক, মসলা, ফল, ফুল জাতীয় ইত্যাদি পণ্য। তবে পরবর্তী শুমারিতে জাতীয় কৃষিপণ্যের মধ্যে শুধু তামাক, চা, পান ও সুপারি রাখা হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে এ প্রকল্পটির শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী জনশুমারি ও অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস ও প্রাণিসম্পদ) শুমারির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই শুমারিতে নেশা জাতীয় পণ্য বাদ দেওয়া হবে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৭, ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।