ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে তারা বিয়ের পিঁড়িতে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ২৮৪ বার

বহু বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে বাংলাদেশী ইয়াসীনকে স্বামী হিসেবে পেয়েছে মালয় কন্যা সিতি। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে সক্ষম হয়েছে এই জুটি।

জহুর রাজ্যের লায়াং লায়াং জেলার সেমপারেংগামের মেয়ে সিতির সঙ্গে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার মোহাম্মাদ ইয়াসীনের মধ্যে গত রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময় ২০০৮ সালে সিতির সঙ্গে পরিচয় হয় ইয়াসীনের। পরিচয়ের পর দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন পর ইয়াসীন ও সিতি সেই ফ্যাক্টরির কাজ ছেড়ে দেন। ইয়াসীন স্থানীয় বাজারে সবজির ব্যবসা শুরু করেন আর সিতি কাজ নেন অন্য স্থানে।

২০১৩ সালে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। নিয়ম অনুযায়ী ইয়াসীন কনের বাবার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু বেঁকে বসেন মেয়ের বাবা-মা। বিদেশী ছেলের কাছে তারা কোনোভাবেই মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। অন্যদিকে সিতিও সাফ জানিয়ে দেন, বিয়ে যদি করতেই হয় তাহলে ইয়াসীনকেই করবেন।

সিতির এ অবস্থানের কারণে তার বাবা-মা একপর্যায়ে পাত্রের দায়দায়িত্ব নিতে সক্ষম এমন একজন স্থানীয় অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু প্রবাসে এমন অভিভাবক কোথায় পাবেন ইয়াসীন?

এভাবে দুই বছর কেটে যাওয়ার পর ২০১৫ সালের শুরুতে ইয়াসীনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন জহুরবাহরুর বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জের তরিকুল ইসলাম আমিন, যিনি নিজেও মালয়েশিয়ান মেয়েকে বিয়ে করেছেন।

ইয়াসীনের অভিভাবক হিসেবে তিনি সিতির বাবা-মায়ের সঙ্গে সার্বিক আলোচনা করেন।

মালয়েশিয়ার রীতি অনুযায়ী মসজিদে বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও পিজাবাত কাডির (কাজী) সহযোগিতায় স্থানীয় মসজিদের ইমাম কনের বাড়িতেই বিয়ের কাজ সম্পাদন করেন। এ সময় রীতি অনুযায়ী বিয়ের আগেই কনেকে হানতারান (মোহরানা) বাবদ ১৫ হাজার রিঙ্গিত প্রদান করেন ইয়াসীন।

আমিন জানান, ইয়াসীনকে আমি প্রায় ১০ বছর ধরে চিনি। ইয়াসীন ছাড়াও মালয়েশিয়ান মেয়েকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে আরও অনেক বাংলাদেশী ছেলেকে সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অবশেষে তারা বিয়ের পিঁড়িতে

আপডেট টাইম : ০৮:২২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বহু বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে বাংলাদেশী ইয়াসীনকে স্বামী হিসেবে পেয়েছে মালয় কন্যা সিতি। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে সক্ষম হয়েছে এই জুটি।

জহুর রাজ্যের লায়াং লায়াং জেলার সেমপারেংগামের মেয়ে সিতির সঙ্গে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার মোহাম্মাদ ইয়াসীনের মধ্যে গত রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময় ২০০৮ সালে সিতির সঙ্গে পরিচয় হয় ইয়াসীনের। পরিচয়ের পর দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন পর ইয়াসীন ও সিতি সেই ফ্যাক্টরির কাজ ছেড়ে দেন। ইয়াসীন স্থানীয় বাজারে সবজির ব্যবসা শুরু করেন আর সিতি কাজ নেন অন্য স্থানে।

২০১৩ সালে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। নিয়ম অনুযায়ী ইয়াসীন কনের বাবার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু বেঁকে বসেন মেয়ের বাবা-মা। বিদেশী ছেলের কাছে তারা কোনোভাবেই মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। অন্যদিকে সিতিও সাফ জানিয়ে দেন, বিয়ে যদি করতেই হয় তাহলে ইয়াসীনকেই করবেন।

সিতির এ অবস্থানের কারণে তার বাবা-মা একপর্যায়ে পাত্রের দায়দায়িত্ব নিতে সক্ষম এমন একজন স্থানীয় অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু প্রবাসে এমন অভিভাবক কোথায় পাবেন ইয়াসীন?

এভাবে দুই বছর কেটে যাওয়ার পর ২০১৫ সালের শুরুতে ইয়াসীনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন জহুরবাহরুর বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জের তরিকুল ইসলাম আমিন, যিনি নিজেও মালয়েশিয়ান মেয়েকে বিয়ে করেছেন।

ইয়াসীনের অভিভাবক হিসেবে তিনি সিতির বাবা-মায়ের সঙ্গে সার্বিক আলোচনা করেন।

মালয়েশিয়ার রীতি অনুযায়ী মসজিদে বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও পিজাবাত কাডির (কাজী) সহযোগিতায় স্থানীয় মসজিদের ইমাম কনের বাড়িতেই বিয়ের কাজ সম্পাদন করেন। এ সময় রীতি অনুযায়ী বিয়ের আগেই কনেকে হানতারান (মোহরানা) বাবদ ১৫ হাজার রিঙ্গিত প্রদান করেন ইয়াসীন।

আমিন জানান, ইয়াসীনকে আমি প্রায় ১০ বছর ধরে চিনি। ইয়াসীন ছাড়াও মালয়েশিয়ান মেয়েকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে আরও অনেক বাংলাদেশী ছেলেকে সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান তিনি।