হাওর বার্তা ডেস্কঃ দূর থেকে দেখলে মনে হবে থোকায় থোকায় কলা ঝুলছে। আসলে কলা নয় এগুলো আম। আম গাছে আমই ঝুলছে। তবে এ কোনো সাধারণ আম নয়। নতুন জাতের এই আম দেখতে অবিকল সাগর কলার মতো হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘ব্যানানা ম্যাংগো’। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে দেশে এই প্রথম অভিনব জাতের আমের আবাদ হয়েছে। এই আম ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিনই মানুষ এখানে এ আম দেখতে ও চারা সংগ্রহ করতে আসছেন।
হর্টিকালচার সেন্টারের দুইজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ জাতের সঙ্গে এ আমের শুধু চেহারার অমিল নয়, অমিল রয়েছে ফলন, স্বাদ, গন্ধ ও গুণাগুণের দিক থেকেও। যে কারণে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে চাষ হওয়া নতুন জাতের এ আম নিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশে প্রচলিত জাতের চেয়ে এ আমে ফলন দ্বিগুণের বেশি।
কলার মতো দেখতে এ আম পাকলে দেশি পাকা সাগর কলার মত রং ও চেহারা ধারণ করে। অত্যন্ত মিষ্টি এ আমের বৈশিষ্ট্য এর আটি খুব ছোট ও খোসা পাতলা। যে কারণে পাকা আম প্রায় এক মাসের বেশি ঘরে রাখা যায়। তবে প্রচলিত জাতের আমের চেয়ে ফলন দ্বিগুণ হওয়ায় এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যানতত্ত্ববিদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ২০১৪ সালে থাইল্যান্ড থেকে এ আমের ডাল এনে স্থানীয় জাতের আম গাছের সঙ্গে তিনটি (গ্রাফটিং) কলম করে বংশ বিস্তার করা হয়। কলম থেকে লাগানো তিনটি গাছের প্রতিটিতেই প্রথম বছর গড়ে শতাধিক করে আম ধরে। পরের বছর আরো বেশি আম ধরে। এ বছর তিনটি গাছেই জড়িয়ে আম ধরেছে।
মহম্মদপুরের বালিদিয়ার মৌশা গ্রাম থেকে হর্টিকালচার সেন্টারে এসছেন রাসেল পারভেজসহ কয়েকজন। তারা জানান, ‘খবর পেয়ে আম দেখতে এসেছেন। দেখে তারা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন। চারা সংগ্রহ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যানানা ম্যাংগো মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। প্রতিদিন এ আম দেখতে ও চারা সংগ্রহ করতে অসংখ্য মানুষ তাদের সেন্টারে আসছেন। এ বছর বেশ কিছু চারা তৈরি করেছেন। আগ্রহীদের মধ্যে চারা সংগ্রহ করতে পারবেন বলে তিনি বলে জানান।