ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০০ টাকায় লটকনের বাগান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন ২০১৮
  • ৪৭৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ থোকা থোকা লটকন ধরে আছে গাছে। গাছের আগা থেকে শুরু করে প্রতি ইঞ্চিতে পেকে লালচে হয়ে যাওয়া লটকনের ছড়াছড়ি। এমন চমৎকার দৃশ্য দেখতে চাইলে চলে যেতে পারেন নরসিংদীর লটকন বাগানে। মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গাছ থেকে পেড়েও খেতে পারবেন পাকা লটকন। সবচেয়ে বেশি লটকনের গাছ পাবেন নরসিংদীর শিবপুরে।

শিবপুর উপজেলার ছোটাবন্দ গ্রামে পা দিয়েই দেখা মিলবে অসংখ্য লটকন গাছের। ইচ্ছেমতো লটকন খেতে পারবেন গাছ থেকে পেড়ে। তবে অবশ্যই বাগানের মালিকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। তিনিই আপনাকে দেখিয়ে দেবেন, কোন গাছের লটকন বেশি মিষ্টি আর কোন গাছেরটা টক। তো, আর দেরি কেন, খরচের কথা ভাবছেন- মাত্র ২০০ টাকা।

গ্রামে ঢুকতেই সড়কের দুই পাশে নজর কাড়ে অসংখ্য ছোট-বড় লটকনের বাগান। আছে কাঁঠাল আর জলপাইয়ের বাগানও। গাছের আড়াল থেকে ভেসে আসে ঘুঘু ও চৈতার বউপাখির সুরেলা কণ্ঠ। চোখের সামনে দিয়ে যখন-তখন দুধপাখিসহ বিভিন্ন পাখি এ-গাছ থেকে ও-গাছে উড়ে যাওয়ার দৃশ্য- সেই মুগ্ধতা আরো বাড়িয়ে তুলবে আপনার। হালকা জনবসতির এই এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে লটকন বাগান। অধিকাংশ গাছের নিচ থেকে ওপরের অংশের শাখা-প্রশাখায় লটকন ফল জড়িয়ে আছে। পুরো গাছভর্তি লটকন পেকে হলুদ হয়ে আছে, সেই পাকা রঙে বিকেলের আলো আরো সোনালি করে তুলেছে পুরো পরিবেশ।

যতদূর চোখ যায়, শুধু লটকন আর লটকন। গাছের গোড়া থেকে শুরু করে ডালপালা পর্যন্ত ঝুলন্ত পুষ্পমঞ্জরিতে থোকায় থোকায় লটকন। প্রতিটি পুষ্পমঞ্জরিতে ৫ থেকে ৫০টি ফল। দেখে মনে হয় যেন পুরো গাছে লটকনের ফুল ফুটেছে। একেবারে গোড়া থেকে শুরু করে চোখ যায় না এমন ওপর পর্যন্ত ধরে আছে অজস্র লটকন। একেকটা আকারেও বিশাল। প্রতিটা গাছতলায় ঝরা পাতার মতো পাকা লটকন পড়ে আছে। এত বড় লটকন সচরাচর দেখা যায় না। পাশে বাড়িঘর। তার পাশে কাঁঠাল গাছের সারি, মাঝখানে লটকনের মিছিল।

ঢাকার সায়েদাবাদ, বনানী, মহাখালী বা উত্তরা থেকে যেকোনো নরসিংদীর বাসে উঠে পাঁচদোনা বাসস্ট্যান্ড নামবেন। সেখান থেকে সিএনজি/ মাইক্রোবাস ভাড়া করে চলে যাবেন মরজাল। সেখানে চালককে বললেই হবে যে লটকন বাগান দেখতে যাবেন, তিনিই আপনাকে কামারটেকের রাস্তা দিয়ে সৃষ্টিগড় পর্যন্ত নিয়ে যাবেন।

লটকন জুলাই মাসের পর আর পাওয়া যাবে না। ফেরার সময় ভেলনগর বা পাঁচদোনা হয়ে আবার চলে আসতে পারেন। ঢাকা থেকে নরসিংদীর পাঁচদোনা পর্যন্ত বাসভাড়া ১০০ টাকা। অথবা ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিতে পারবেন। ভাড়া নেবে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২০০ টাকায় লটকনের বাগান

আপডেট টাইম : ০৭:২০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ থোকা থোকা লটকন ধরে আছে গাছে। গাছের আগা থেকে শুরু করে প্রতি ইঞ্চিতে পেকে লালচে হয়ে যাওয়া লটকনের ছড়াছড়ি। এমন চমৎকার দৃশ্য দেখতে চাইলে চলে যেতে পারেন নরসিংদীর লটকন বাগানে। মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গাছ থেকে পেড়েও খেতে পারবেন পাকা লটকন। সবচেয়ে বেশি লটকনের গাছ পাবেন নরসিংদীর শিবপুরে।

শিবপুর উপজেলার ছোটাবন্দ গ্রামে পা দিয়েই দেখা মিলবে অসংখ্য লটকন গাছের। ইচ্ছেমতো লটকন খেতে পারবেন গাছ থেকে পেড়ে। তবে অবশ্যই বাগানের মালিকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। তিনিই আপনাকে দেখিয়ে দেবেন, কোন গাছের লটকন বেশি মিষ্টি আর কোন গাছেরটা টক। তো, আর দেরি কেন, খরচের কথা ভাবছেন- মাত্র ২০০ টাকা।

গ্রামে ঢুকতেই সড়কের দুই পাশে নজর কাড়ে অসংখ্য ছোট-বড় লটকনের বাগান। আছে কাঁঠাল আর জলপাইয়ের বাগানও। গাছের আড়াল থেকে ভেসে আসে ঘুঘু ও চৈতার বউপাখির সুরেলা কণ্ঠ। চোখের সামনে দিয়ে যখন-তখন দুধপাখিসহ বিভিন্ন পাখি এ-গাছ থেকে ও-গাছে উড়ে যাওয়ার দৃশ্য- সেই মুগ্ধতা আরো বাড়িয়ে তুলবে আপনার। হালকা জনবসতির এই এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে লটকন বাগান। অধিকাংশ গাছের নিচ থেকে ওপরের অংশের শাখা-প্রশাখায় লটকন ফল জড়িয়ে আছে। পুরো গাছভর্তি লটকন পেকে হলুদ হয়ে আছে, সেই পাকা রঙে বিকেলের আলো আরো সোনালি করে তুলেছে পুরো পরিবেশ।

যতদূর চোখ যায়, শুধু লটকন আর লটকন। গাছের গোড়া থেকে শুরু করে ডালপালা পর্যন্ত ঝুলন্ত পুষ্পমঞ্জরিতে থোকায় থোকায় লটকন। প্রতিটি পুষ্পমঞ্জরিতে ৫ থেকে ৫০টি ফল। দেখে মনে হয় যেন পুরো গাছে লটকনের ফুল ফুটেছে। একেবারে গোড়া থেকে শুরু করে চোখ যায় না এমন ওপর পর্যন্ত ধরে আছে অজস্র লটকন। একেকটা আকারেও বিশাল। প্রতিটা গাছতলায় ঝরা পাতার মতো পাকা লটকন পড়ে আছে। এত বড় লটকন সচরাচর দেখা যায় না। পাশে বাড়িঘর। তার পাশে কাঁঠাল গাছের সারি, মাঝখানে লটকনের মিছিল।

ঢাকার সায়েদাবাদ, বনানী, মহাখালী বা উত্তরা থেকে যেকোনো নরসিংদীর বাসে উঠে পাঁচদোনা বাসস্ট্যান্ড নামবেন। সেখান থেকে সিএনজি/ মাইক্রোবাস ভাড়া করে চলে যাবেন মরজাল। সেখানে চালককে বললেই হবে যে লটকন বাগান দেখতে যাবেন, তিনিই আপনাকে কামারটেকের রাস্তা দিয়ে সৃষ্টিগড় পর্যন্ত নিয়ে যাবেন।

লটকন জুলাই মাসের পর আর পাওয়া যাবে না। ফেরার সময় ভেলনগর বা পাঁচদোনা হয়ে আবার চলে আসতে পারেন। ঢাকা থেকে নরসিংদীর পাঁচদোনা পর্যন্ত বাসভাড়া ১০০ টাকা। অথবা ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিতে পারবেন। ভাড়া নেবে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।