হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের নদ-নদীগুলোর চারটি স্থানে পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কুশিয়ারার পানি শেওলায় ৮ সেন্টিমিটার, শেরপুর-সিলেট পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার এবং পুরাতন সুরমার পানি দিরাই পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি আজ আরো কমতে পারে। সেক্ষত্রে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানায়।
পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, যমুনা, পদ্মা ও গঙ্গার পানি বাড়ছে এবং ব্রহ্মপুত্র এবং পদ্মা নদীর পানি কমছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানিও কমছে। আর ব্রহ্মপুত্র-যমুনা চ্যানেলের নদ-নদীগুলোর পানির পরিমাণ স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ছিল রংপুরে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় রংপুরে ৭৩ মিলিমিটার।
এর আগে গত সোমবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় চাঁদপুরে ১৬৬ মিলিমিটার। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।