হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৬ বছর কারান্তরীণ থাকার সময় চিকিৎসা পাননি’ দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, কারাগারে থাকার সময় ডাক্তার তো দুরের কথা ডাক্তারের চেহারাও দেখি নাই। আর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাচ্ছেন সঙ্গে কাজের মেয়েও পেয়েছেন। খালেদা জিয়া তো চেয়েছিলেন আমি কারাগারেই মারা যাই। কিন্তু মহান আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
আজ শুক্রবার (২২ জুন) দুপুরের দিকে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান ছিলেন। তার স্ত্রী হিসেবে তিনিও সিএমএইচে চিকিৎসা নিতে পারেন। আমি নিজেও সেখানে চিকিৎসা নিয়ে থাকি।’
‘আমি ছয় বছর কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসা পাইনি। আর উনি (খালেদা) গোঁ ধরে বসে আছেন তার ইচ্ছে অনুযায়ী চিকিৎসা নেবেন। এটা তো হতে পারে না।’
‘সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে চুনোপুটি মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা পড়লেও গডফাদাররা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত মাদক নির্মূল করা যাবে না ততদিন অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
‘মাদক নির্মূলে ক্রসফায়ারকে সমর্থন করে’ এরশাদ বলেন, ‘মাদকের সর্বনাশা ছোবল দমন করতে গিয়ে কিছু লোক যদি মারা যায় তা গ্রহণ করা উচিত। যদিও আমি বিনা বিচারে মৃত্যু সমর্থন করি না। তারপরেও যারা মাদক ব্যবসা করে যুবসমাজকে ধংস করছে তাদের মৃত্যুতে আমাদের কোনও শোক নেই।
‘গাজীপুর, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হবে’ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘তিনটি সিটি করপোরেশনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হবে নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হবে।’
এর আগে এরশাদ ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরন করে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে আসলে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহাম্মেদ বাবলু, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর খালেদ আখতার, রংপুর মহানগরের সাধারন সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সাধারণ সম্পাদক ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীরসহ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।