ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ‘ষড়যন্ত্র’ টিকবে না : ওবায়দুল কাদের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুন ২০১৮
  • ৩১৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পর্দার আড়ালে বিএনপি কী করছে, এর সবই সরকারের জানা আছে। বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ‘ষড়যন্ত্র’ টিকবে না। আজ মঙ্গলবার (১৯জুন) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে এই কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইল্যান্ডের বৈঠক। আরও অনেক জায়গায় তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঢাকাতেও এখানে ওখানে গভীর রাতে বৈঠক চলছে। তারা মনে করছে, আমরা জানি না। সব খবরই জানা আছে। এবার কোনো ষড়যন্ত্র টিকবে না। দেশের জনগণ প্রতিহত করবে।’

সম্প্রতি বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল অনেকটাই গোপনে ভারত সফর করে এসেছে। সে দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নেতারা বলে এসেছেন, তারা ভারতের সঙ্গে ‘নতুন সম্পর্ক’ চান। সেই সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছে দলটি।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি দেশ ছেড়েছিলেন ব্যাংকক যাওয়ার কথা বলে। তার সঙ্গে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কথা ছিল, তিনি থাইল্যান্ডে চিকিৎসা করাবেন। তবে পরে সেখান থেকে ফখরুল যান যুক্তরাজ্যে, নানা বিষয়ে আলোচনা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সঙ্গে। আর খসরু যান ভারতে।

বিএনপি নেতাদের এই সফর নিয়ে কাদের বলেন, ‘আজকে নিজের দেশকে পর্যন্ত তারা মর্যাদা দিতে পারে না। তারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে নালিশ করছে। তারা এখন নির্বাচনী এলাকায় না গিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা ও কূটনৈতিকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নালিশ করছে।এটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা।’

গত নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এটা কি আওয়ামী লীগের দোষ? শেখ হাসিনার দোষ? তারা নিজেরা সবকিছু উপেক্ষা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তারা সরে গেলে দেশের সাংবিধানিক ধারাকে আমরা জলাঞ্জলি দিতে পারি না। এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’

আওয়ামী লীগ নেতা জানান, আগামী নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেবে কি না এটা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। আর আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনে আসার পথে বাধা নয়। বিএনপিকে ভোটে আনতে সরকারের কোনো উদ্যোগ থাকবে না বলেও জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগ নেতা। ‘নির্বাচন তাদের অধিকার, তাদের সুযোগ নয়। এটা কোনো দয়ার দান নয়। তারা আসবে কি আসবে না, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা তাদের আসার পথে কোনো বাধা দেব না।’

‘পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দলকে ডেকে ডেকে এনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের এই বিষয়টা আছে? বিরোধী দলকে আসুন আসুন, অংশগ্রহণের জন্য সংলাপ, কোনো গণতান্ত্রিক দেশে আছে? বাংলাদেশে এই ব্যতিক্রম কেন হবে?’

আগামী ২৩ জুন সাড়ে ১০টায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্ধোধন এবং ৭ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকাল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনার বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

বৈঠকে যুগ্ম সাধাররণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ সম্পদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পদক আব্দুস সবুর, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলসহ সহযোগী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ‘ষড়যন্ত্র’ টিকবে না : ওবায়দুল কাদের

আপডেট টাইম : ০৪:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পর্দার আড়ালে বিএনপি কী করছে, এর সবই সরকারের জানা আছে। বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ‘ষড়যন্ত্র’ টিকবে না। আজ মঙ্গলবার (১৯জুন) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে এই কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইল্যান্ডের বৈঠক। আরও অনেক জায়গায় তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঢাকাতেও এখানে ওখানে গভীর রাতে বৈঠক চলছে। তারা মনে করছে, আমরা জানি না। সব খবরই জানা আছে। এবার কোনো ষড়যন্ত্র টিকবে না। দেশের জনগণ প্রতিহত করবে।’

সম্প্রতি বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল অনেকটাই গোপনে ভারত সফর করে এসেছে। সে দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নেতারা বলে এসেছেন, তারা ভারতের সঙ্গে ‘নতুন সম্পর্ক’ চান। সেই সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছে দলটি।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি দেশ ছেড়েছিলেন ব্যাংকক যাওয়ার কথা বলে। তার সঙ্গে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কথা ছিল, তিনি থাইল্যান্ডে চিকিৎসা করাবেন। তবে পরে সেখান থেকে ফখরুল যান যুক্তরাজ্যে, নানা বিষয়ে আলোচনা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সঙ্গে। আর খসরু যান ভারতে।

বিএনপি নেতাদের এই সফর নিয়ে কাদের বলেন, ‘আজকে নিজের দেশকে পর্যন্ত তারা মর্যাদা দিতে পারে না। তারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে নালিশ করছে। তারা এখন নির্বাচনী এলাকায় না গিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা ও কূটনৈতিকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নালিশ করছে।এটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা।’

গত নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এটা কি আওয়ামী লীগের দোষ? শেখ হাসিনার দোষ? তারা নিজেরা সবকিছু উপেক্ষা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তারা সরে গেলে দেশের সাংবিধানিক ধারাকে আমরা জলাঞ্জলি দিতে পারি না। এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’

আওয়ামী লীগ নেতা জানান, আগামী নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেবে কি না এটা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। আর আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনে আসার পথে বাধা নয়। বিএনপিকে ভোটে আনতে সরকারের কোনো উদ্যোগ থাকবে না বলেও জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগ নেতা। ‘নির্বাচন তাদের অধিকার, তাদের সুযোগ নয়। এটা কোনো দয়ার দান নয়। তারা আসবে কি আসবে না, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা তাদের আসার পথে কোনো বাধা দেব না।’

‘পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দলকে ডেকে ডেকে এনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের এই বিষয়টা আছে? বিরোধী দলকে আসুন আসুন, অংশগ্রহণের জন্য সংলাপ, কোনো গণতান্ত্রিক দেশে আছে? বাংলাদেশে এই ব্যতিক্রম কেন হবে?’

আগামী ২৩ জুন সাড়ে ১০টায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্ধোধন এবং ৭ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকাল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনার বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

বৈঠকে যুগ্ম সাধাররণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ সম্পদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পদক আব্দুস সবুর, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলসহ সহযোগী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।