হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সরকারি ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি ব্যবহার করছেন প্রভাবশালী একটি পরিবার। এলাকার কোন লোককে যাতায়াত করতে দেয়া হচ্ছে না ওই সেতু। সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো মানুষ। এ প্রসঙ্গে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম রশিদ আহমদ বলেন, দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেতু আছে। রাস্তা আছে। তারপরও সেতুর পাশে সাঁকো দিয়ে চলছে স্থানীয়দের খাল পারাপার। অস্বাভাবিক এ ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের দল্ডা এলাকায়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
২০১২-১৩ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক পাকা সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে এ সেতুটি নির্মান করা হয়। নির্মাণের কিছুদিন পর স্থানীয় প্রভাবশালী মনির হোসেনের পরিবার জোর করে সেতুর উত্তর পাশে নিজেদের বাড়ির গেইট লাগিয়ে দিয়ে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র ওই পরিবারটিই ভোগ করছেন এ সেতুটি।
দ্রুত সেতুটি খুলে দিয়ে চার গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের চলাচল ব্যবস্থা করার দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চার গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য সরকার এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে এসব অপকর্ম করা হয়। সেতুর ওপর দিয়ে মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন স্থানীয় প্রভাবশালী মনির হোসেন ও হুমায়ুন কবির। এ সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হচ্ছে স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করলে মামলা-হামলাসহ নানান ধরনের ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেন তারা।
ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, সরকারিভাবে সেতু করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এ কাজটি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচল যেন করতে পারে, সে চেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এ জনপ্রতিনিধি।
অভিযুক্তরা বলছেন ভিন্ন কথা, তারা বলছেন, সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে সরকারি ব্যয়ে। কিন্তু তাদের সম্পত্তিতে সেতুটি হওয়ায় দাবিদার তারা। তারপরও এখন সেতুটি তাদের গলারকাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির।