ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা শিবির: খাওয়া আর থাকা নিয়ে যেখানে চিন্তার শেষ নেই, সেখানে আবার কিসের ঈদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জুন ২০১৮
  • ৩৮১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাওয়া আর থাকা নিয়ে যেখানে চিন্তার শেষ নেই, সেখানে আবার কিসের ঈদ? যেখানে প্রতিমূহূর্ত অভাব তাড়িয়ে বেড়ায়, সেখানে আবার ঈদের প্রস্তুতি কেমন হবে?’ টেকনাফের লেদা লবণের মাঠ আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা নারী জাহানারা বেগম জানান এসব কথা।

তার কোলে ছিল একটি শিশুসন্তান। তবে তার গায়ে কোনো জামা-কাপড় ছিল না। আট মাস আগে পাঁচ সন্তান নিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে টেকনাফে আশ্রয় নেন এ রোহিঙ্গা নারী।

পুরনোসহ উখিয়া ও টেকনাফের ৩০টি শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদুল ফিতর দরজায় কড়া নাড়লেও কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা, মৌচনি, জাদিমুড়া, তুলা বাগান, বাহাছড়া, নয়াপাড়া, শীলখালী ও হোয়াইক্যংয়ের পটুবনিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় এই উৎসবের কোনো প্রস্তুতি নেই।

গত দুই মাস আগে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে ছেলেসন্তান জন্ম দিয়েছেন মিনারা বেগম। একমাত্র ছেলের প্রথম ঈদে নতুন জামা কিনে দেবেন কীভাবে সেই চিন্তা তার। আরও পাঁচটি মেয়ে রয়েছে তার। তিনি বলেন, মিয়ানমারে স্বামী আবদুল হাকিমের তিনতলা কাঠের বাড়ি ছিল। ছিল তিন একর জমির চিংড়ি ঘের। এখন সব হারিয়ে ঝুপড়ি ঘরে থাকতে হচ্ছে। গত বছর ঈদে প্রত্যেক সন্তানকে নতুন জামা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখানে নিয়মিত খাবারই জোগাড় করা যাচ্ছে না।

শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বিভিন্ন এনজিওর পক্ষ থেকে তাদের জন্য ঈদ উপলক্ষে বিশেষ বরাদ্দ রয়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারি বরাদ্দ এখন পর্যন্ত আসেনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গা শিবির: খাওয়া আর থাকা নিয়ে যেখানে চিন্তার শেষ নেই, সেখানে আবার কিসের ঈদ

আপডেট টাইম : ০৩:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাওয়া আর থাকা নিয়ে যেখানে চিন্তার শেষ নেই, সেখানে আবার কিসের ঈদ? যেখানে প্রতিমূহূর্ত অভাব তাড়িয়ে বেড়ায়, সেখানে আবার ঈদের প্রস্তুতি কেমন হবে?’ টেকনাফের লেদা লবণের মাঠ আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা নারী জাহানারা বেগম জানান এসব কথা।

তার কোলে ছিল একটি শিশুসন্তান। তবে তার গায়ে কোনো জামা-কাপড় ছিল না। আট মাস আগে পাঁচ সন্তান নিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে টেকনাফে আশ্রয় নেন এ রোহিঙ্গা নারী।

পুরনোসহ উখিয়া ও টেকনাফের ৩০টি শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদুল ফিতর দরজায় কড়া নাড়লেও কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা, মৌচনি, জাদিমুড়া, তুলা বাগান, বাহাছড়া, নয়াপাড়া, শীলখালী ও হোয়াইক্যংয়ের পটুবনিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় এই উৎসবের কোনো প্রস্তুতি নেই।

গত দুই মাস আগে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে ছেলেসন্তান জন্ম দিয়েছেন মিনারা বেগম। একমাত্র ছেলের প্রথম ঈদে নতুন জামা কিনে দেবেন কীভাবে সেই চিন্তা তার। আরও পাঁচটি মেয়ে রয়েছে তার। তিনি বলেন, মিয়ানমারে স্বামী আবদুল হাকিমের তিনতলা কাঠের বাড়ি ছিল। ছিল তিন একর জমির চিংড়ি ঘের। এখন সব হারিয়ে ঝুপড়ি ঘরে থাকতে হচ্ছে। গত বছর ঈদে প্রত্যেক সন্তানকে নতুন জামা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখানে নিয়মিত খাবারই জোগাড় করা যাচ্ছে না।

শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বিভিন্ন এনজিওর পক্ষ থেকে তাদের জন্য ঈদ উপলক্ষে বিশেষ বরাদ্দ রয়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারি বরাদ্দ এখন পর্যন্ত আসেনি।