হাওর বার্তা ডেস্কঃ এক মাস আত্মশুদ্ধির সিয়াম সাধনার পর আনন্দের ঝর্নাধারায় সমাগত ঈদ। আকাশ বাতাস মন্দ্রিত করে ভেসে বেড়াচ্ছে সুর-লহরী ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’। মনপ্রাণ ভরে উঠছে ঈদের অনাবিল আনন্দ রোশনাইয়ে। রমজানের রোজার শেষে খুশির সওগাত নিয়ে আসছে ঈদ উল ফিতর।
আজ শুক্রবার শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসহে-উদ্দীপনায় উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। তবে রমজান মাস ৩০ দিন হলে ঈদ হবে আরো একদিন পর রবিবার। আজ চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসবে সন্ধ্যায়। তবে সৌদি আরবে ঈদ হবে আজ শুক্রবার। ফলে কাল বাংলাদেশে ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক।
প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “চাঁদ দেখে রোজা পালন করবে এবং চাঁদ দেখে ঈদ উদযাপন করবে। তিনি বলেছেন, চান্দ্র মাস ২৯ দিনেও হয় আবার ৩০ দিনেও হয়। যদি আকাশে মেঘ থাকায় চাঁদ দেখা না যায় তবে ৩০ দিনের গণনা পূর্ণ করবে। “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন, “সংযম সাধনার পর ঈদের দিনে রোজাদারগণ শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে যায়।”
ঈদ উল ফিতর আরবি শব্দ। ঈদ’ অর্থ আনন্দ, উৎসব, খুশি। আর ফিতর অর্থ ভাঙা, চিড়, ভাঙন। ঈদুল ফিতর অর্থ হলো রোজা ভাঙার পর্ব বা উত্সব। ঈদের শাব্দিক অর্থ হলো ‘বারবার ফিরে আসা’।এ দিনটি বারবার ফিরে আসে বলে এর নামকরণ হয়েছে ঈদ। আল্লাহ তা‘আলা এদিনে তার বান্দাকে নি‘আমাত ও অনুগ্রহ দ্বারা বারবার ধন্য করে থাকেন, বারবার ইহসান করেন।
রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজানের অবসানে নতুন চাঁদ দেখামাত্র ছোট-বড়, ধনী-গরিব, প্রতিটি মুসলমানের হূদয় আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে। এই দিনে ধনী-গরিব, বাদশা-ফকির নির্বিশেষে সব মুসলমান এক কাতারে ঈদের নামাজ আদায় করে, একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে।
ঈদ মুসলিম উম্মাহর জাতীয় উৎসব। ঈদ উল ফিতরের দিনটি প্রতিটি মুসলমান নারী ও পুরুষের জীবনে তাত্পর্যে ও মহিমায় অনন্য। আইয়্যামে জাহেলিয়াত বা ইসলাম প্রাক্কালীন যুগেও আরবে ‘নওরোয’ ও ‘মেহেরজান’ নামক দুইটি বাত্সরিক উত্সব ছিল অধিক জনপ্রিয়।