হাওর বার্তা ডেস্কঃ এখন আর আগের মত পাওয়া যায়না ভাসমান বেড তৈরীর অন্যতম উপকরণ কচুড়িপানা ও জলজ উদ্ভিদ। চাষ করেও চাহিদা মেটানো যাচ্ছেনা। সেই সঙ্গে রয়েছে ইঁদুর কার্প জাতীয় মাছ ও রোগবালাই এর আক্রমণ সহ নানা সীমাবদ্ধতা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা না গেলে দেশ বিদেশে সাড়া জাগানো ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ পদ্ধতি টেকসই হবেনা।
শনিবার (জুন ৯) রাজধানীর খামারবাড়ির আ. কা. মু. গিয়াসউদ্দীন অডিটরিয়মে ‘ সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প (ডিএই অংগ)’ এর জাতীয় কর্মশালার কারিগরি সেশনের মূল বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়ির সাইন্টিফিক অফিসার (এগ্রোনোমি) ড. মো. আলিমুর রহমান এ সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষের ক্ষেত্রে অনেকগুলো সমস্যা বা অসুবিধার মধ্যে রয়েছে; কচুড়িপানার অভাব ও ভাসমান বেডের জন্য এখনও কোনো নির্দিষ্ট আকার নির্ধারণ করা হয়নি, মান সম্মত চারার অভাব। রোপন বা বপন, ফসল বিন্যাস ও সার ব্যবস্থাপনা প্রভৃতিতে অনুন্নত কৃষি তাত্ত্বিক পরিচর্যা, ফসলের স্থানীয় ও কম ফলনশীল জাতের বীজের ব্যবহার এবং মান সম্মত চারার অভাব, অতিমাত্রায় ইউরিয়া সার ব্যবহার প্রভৃতি।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(সম্প্রসারণ) সৈয়দ আহম্মদ। সভাপতিত্ব করেন, উদ্বোধনী অধিবেশনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন ও কারিগরি অধিবেশনে অমিতাভ দাস।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প’ এর উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সৈয়দ আহম্মদ ভাসমান বেডে কোন এলাকায় কি সবজি ও মসলা চাষ লাভজনক হবে এবং কোন সময়ে কি ফসল চাষ করতে হবে তার ক্যালেন্ডার তৈরীর আহ্বান জানান।
ডিএই মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ভাসমান বেডের আকার নির্ধারণ, কি কি শস্য আবাদ হবে এবং কতটা লাভজনক হবে তা নির্ণয় করাসহ ১৬টি ক্ষেত্রে গবেষণা করা হচ্ছে। এই ফলাফলের ভিত্তিতে ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষের উন্নত ধারণা পাওয়া যাবে।