হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রচণ্ড রোদের তাপে পুড়ে যাচ্ছে ডগার (মাইজ) পাতা। আর বিছার (এক ধরনের পোকা) দল খেয়ে ফেলছে পাতা। এতে পাট উৎপাদনে দেখা দিতে পারে ধস। ফলে চিন্তিত হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার কৃষক। সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ এলাকায় আবাদ করা পাট ক্ষেতে দেখা দিয়েছে এ সমস্যা। যদিও সমস্যা মোকাবেলায় কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে কৃষি বিভাগ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের পাট চাষি জাবেদ আলী সাংবাদিককে বলেন, তিনি এ বছর এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। চার মাস মেয়াদি এই চাষাবাদে ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে তার। সবকিছু ঠিক থাকলে পাট বিক্রি করতে পারবেন ২৪-২৫ হাজার টাকার। তবে, প্রচণ্ড তাপমাত্রায় গাছের ডগার পাতা পুড়ে যাচ্ছে। এছাড়া পাটের পাতা খেয়ে ফেলছে বিছা।
তিনি জানান, বিছা পোকা পাটের পাতা খেয়ে ফেললে পাটের ডালপালা জন্মে যায়। এতে পাট জাগ দিয়ে আশ ছাড়ানোর সময় ছিঁড়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজুলপুর কৃষক ক্লাবের সভাপতি ইয়ারব হোসেন সাংবাদিককে বলেন, তিনি গত মৌসুমে কয়েক বিঘা জমিতে পাট চাষ করলেও এবছর বৃষ্টি কম হওয়ায় মাত্র ১৭ কাঠা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। তার ক্ষেতেও বিছা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাপে পুড়ে যাচ্ছে গাছের আগা। এতে উৎপাদন নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলার ১২ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে আশাশুনি উপজেলায় ৯০ হেক্টর, শ্যামনগরে পাঁচ হেক্টর, কালিগঞ্জে ১৭০ হেক্টর, কলারোয়ায় চার হাজার পাঁচ হেক্টর, দেবহাটায় ৯০ হেক্টর, তালায় তিন হাজার ১৫ হেক্টর ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় চার হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।