ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুন ২০১৮
  • ৩৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর পর বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট তৈরির প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আয়ুষ্কাল ১৫ বছর হবে। একটি স্যাটেলাইট তৈরি করতে ৫-৬ বছর লাগে। সে জন্য আমরা বঙ্গবন্ধু-২ তৈরি করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। একটা থাকলে আরেকটি যেন চালু হয়ে যেতে পারে সেটা মাথায় রেখেই ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। দ্বিতীয়টির টাইম শেষ হয়ে এলে আমরা বঙ্গবন্ধু-৩ এ যাবো। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমাদের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাব।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মালিকানা নিয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মালিকানা অবশ্যই বাংলাদেশের। যারা এর মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা দেশকে ভালোবাসে না, স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তারা একধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলে। এধরনের অর্বাচীনের মতো কথা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য না। বাংলাদেশকে কেউ দাবায় রাখতে পারেনি, পারবে না। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেহেতু স্যাটেলাইটটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার হবে, যেমন-টেলিমেডিসিন, ডিটিএইচ। এসবক্ষেত্রে যে যতটুকু ভাড়া নেবে সে সেইটুকুর মালিক হবে, দুইজন ব্যক্তিতো এটার মালিক হতে পারে না। এধরনের মন্তব্য করাটাও অত্যন্ত লজ্জাজনক।

নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের বিষয়ে একই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা, আমরা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। যখন যে প্রযুক্তি আসবে সেটা যেন আমরা গবেষণা, ধারণ ও ব্যবহার করতে পারি সেই ব্যবস্থা নেব। এখন স্যাটেলাইটের যুগ, আমরা এটি গ্রহণ করেছি। দেখি নতুন কী যুগ আসে, আমরা সেদিকেও যাব। যখনই যেটা আধুনিক ও যুগোপযোগী হবে সেটাই আমরা চিন্তাভাবনা করব।

ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে দেশে-বিদেশে সব বাঙালী খুশিতে উদ্বেলিত। সকলের চোখে আনন্দ অশ্রু। আমরা খুশিতে চোখের পানি রাখতে পারিনি। সব মানুষ যখন এতো খুশি, তখন বিএনপির কেন দুঃখ। পৃথিবীর বহুদেশ আমাদের অনেক আগেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। আমরা কেন পারলাম না?

তিনি বলেন, ‘সাগরের তলদেশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের মর্যাদাকে উন্নত করেছি। অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’

স্যাটেলাইটের সুবিধা পাওয়া বিষয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্যাটেলাইট ইতোমধ্যে তার কক্ষপথে পৌঁছে গেছে। সিগন্যাল দিতে শুরু করেছে। একবার যখন কাজ শুরু করে দেবে তখন কোনও সমস্যা হবে না। কোনও সন্দেহ করার কিছু নেই। এটা নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তার দরকার নেই। আর এটুকু বলবো, না বলা কথাটি রবে না গোপনে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৩:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর পর বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট তৈরির প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আয়ুষ্কাল ১৫ বছর হবে। একটি স্যাটেলাইট তৈরি করতে ৫-৬ বছর লাগে। সে জন্য আমরা বঙ্গবন্ধু-২ তৈরি করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। একটা থাকলে আরেকটি যেন চালু হয়ে যেতে পারে সেটা মাথায় রেখেই ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। দ্বিতীয়টির টাইম শেষ হয়ে এলে আমরা বঙ্গবন্ধু-৩ এ যাবো। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমাদের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাব।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মালিকানা নিয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মালিকানা অবশ্যই বাংলাদেশের। যারা এর মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা দেশকে ভালোবাসে না, স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তারা একধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলে। এধরনের অর্বাচীনের মতো কথা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য না। বাংলাদেশকে কেউ দাবায় রাখতে পারেনি, পারবে না। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেহেতু স্যাটেলাইটটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার হবে, যেমন-টেলিমেডিসিন, ডিটিএইচ। এসবক্ষেত্রে যে যতটুকু ভাড়া নেবে সে সেইটুকুর মালিক হবে, দুইজন ব্যক্তিতো এটার মালিক হতে পারে না। এধরনের মন্তব্য করাটাও অত্যন্ত লজ্জাজনক।

নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের বিষয়ে একই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা, আমরা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। যখন যে প্রযুক্তি আসবে সেটা যেন আমরা গবেষণা, ধারণ ও ব্যবহার করতে পারি সেই ব্যবস্থা নেব। এখন স্যাটেলাইটের যুগ, আমরা এটি গ্রহণ করেছি। দেখি নতুন কী যুগ আসে, আমরা সেদিকেও যাব। যখনই যেটা আধুনিক ও যুগোপযোগী হবে সেটাই আমরা চিন্তাভাবনা করব।

ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে দেশে-বিদেশে সব বাঙালী খুশিতে উদ্বেলিত। সকলের চোখে আনন্দ অশ্রু। আমরা খুশিতে চোখের পানি রাখতে পারিনি। সব মানুষ যখন এতো খুশি, তখন বিএনপির কেন দুঃখ। পৃথিবীর বহুদেশ আমাদের অনেক আগেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। আমরা কেন পারলাম না?

তিনি বলেন, ‘সাগরের তলদেশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের মর্যাদাকে উন্নত করেছি। অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’

স্যাটেলাইটের সুবিধা পাওয়া বিষয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্যাটেলাইট ইতোমধ্যে তার কক্ষপথে পৌঁছে গেছে। সিগন্যাল দিতে শুরু করেছে। একবার যখন কাজ শুরু করে দেবে তখন কোনও সমস্যা হবে না। কোনও সন্দেহ করার কিছু নেই। এটা নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তার দরকার নেই। আর এটুকু বলবো, না বলা কথাটি রবে না গোপনে।