হাওর বার্তা ডেস্কঃ কেশবপুর ও কলারোয়া উপজেলার আটটি গ্রামের প্রায় দেড় লাখ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কপোতাক্ষ নদের ত্রিমোহিনীতে একটি সেতু নির্মাণ করার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু আজও তাদের সেই দাবি পূরণ হয়নি। ফলে এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করেছে। সেই বাঁশের সাঁকোটিও এখন যাতায়াতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত কেশবপুর উপজেলার পুরনো ত্রিমোহিনী বাজারের চারপাশে অবস্থিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি বালিকা বিদ্যালয়, একটি ফাজিল মাদরাসা ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সোনালী ব্যাংকের একটি শাখাও রয়েছে। এ বাজারে কেশবপুরের চাঁদড়া, বেগমপুর, মির্জানগর, সাতবাড়িয়া, বরণডালি; কলারোয়ার দেয়াড়া, যুগিখালী, সলিমপুর ও কামারালী গ্রামের মানুষ মালপত্র এনে বিক্রি করে।
কলারোয়ার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা ত্রিমোহিনী বাজারের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে আসে। ত্রিমোহিনী বাজারে ১৮৫টি দোকান রয়েছে। নদের ওপারের অনেকেই এ বাজারে ব্যবসা করে। তা ছাড়া দুই পারের কৃষকের কৃষিপণ্যের বেশির ভাগই বিক্রির জন্য বাজারে আনা হয়। কলারোয়ার চার গ্রামের মানুষ কপোতাক্ষ নদের ঝুঁকিপূর্ণ ওই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে হাঁটবাজারে মালপত্র আনা-নেওয়াসহ যাতায়াত করে। সাঁকোর ওপর দিয়ে মালামাল আনতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বিপাকে পড়তে হয়। তা ছাড়া স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরও সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে যায়। বাজারটি অনেক পুরনো হলেও কপোতাক্ষ নদের ওপর সেতু নির্মাণের আশ্বাস আজও মেলেনি। এ কারণে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।
ত্রিমোহিনী বাজার কমিটির সভাপতি জিবানন্দ দত্ত বলেন, বাঁশের সাঁকোটি এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছে। সেটিও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকির ভেতর দিয়েই এলাকার মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
ত্রিমোহিনী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল বাসার বলেন, কপোতাক্ষ নদের ওপর সেতু নির্মাণ করা হলে সহজে ওপারের শিক্ষর্থীদের এপারে এসে লেখাপড়া করতে সুবিধা হবে।
ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, কপোতাক্ষ নদের ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন দাবি করে আসছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ