আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের উপস্থিতিতে সমাবেশে এসে দুই দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হাতাহাতি ও বিশৃঙ্খলা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদককে বেশ কয়েকবার বিশৃঙ্খলা বন্ধ করে বসে পড়ার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান করতে শোনা যায়।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রবিবার বিকেলে সংগঠনটির এক ছাত্র সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রবীণ দুই নেতা উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও।
সমাবেশের শুরুতে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে প্রথমে একবার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম সবাইকে বসে পড়ার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে বিশৃঙ্খলা বন্ধ না করলে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু বিকেল সোয়া ৫টার দিকে দ্বিতীয় দফায় আবার সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্চ থেকে নেমে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ছাড়া সমাবেশে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য দিতে উঠলে বিক্ষিপ্তভাবে ক্রমাগত স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, যদি স্লোগান বন্ধ না হয়, তবে এক মিনিটে শুধু ধন্যবাদ দিয়ে বসে পড়ি। এর পরই পরিস্থিতি বেশ শান্ত হয়।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদ শিকদার, প্রচার সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন ও কর্মী আল-আমিন। একই সময়ে ভিন্ন এক হাতাহাতিতে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুজ্জামান রোহান আহত হন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোহান ছাড়া অন্য সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সভাপতি দারুস সালাম শাকিল অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীরা ঢাবি ছাত্রলীগের নেকাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
বিষয়টি অস্বীকার করে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রানা দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কারও কোনো সংঘর্ষ হয়নি।