অপরাধ দমনে সরাসরি গুলি ছুড়তে বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের উপ মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মাহফুজুল হক নূরুজ্জামান। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ছেলের সামনে মাকে ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় প্রতিবাদী জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে চার জন নিহত হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই তিনি এমন নির্দেশ দিলেন। রোববার ফরিদপুরে এক সভায় নূরুজ্জামান বলেন, ‘প্রয়োজন হলে সরাসরি গুলি করুন। সব দায়-দায়িত্ব আমি নেব। একটি কথা মনে রাখতে হবে যারা জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলে কিংবা সরকারি সম্পদ ধ্বংসের চেষ্টা করে, তাদের প্রতিহত করতে যা যা করা দরকার সবই করবেন।’ রোববার দুপুরে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গনে কমিউনিটি পুলিশিং ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এ সব কথা বলেন। ফরিদপুর জেলা পুলিশ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা ও গোপালগঞ্জের লোক হওয়ায় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এরশাদ ও খালেদা সরকারের সময় আমাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি।
যথা সময়ে পদোন্নতি দিলে এখন আইজি থাকতেন বলেও দাবি করেন তিনি।
মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত বছরের চেয়ে এবছর বিভিন্ন পয়েন্ট বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়ের করা হয়েছে। যানজট এড়াতে টাঙ্গাইল জেলাকে তিনটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোথাও পরিবহন বিকল হয়ে যাতে ভোগান্তির সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে যাতে কেউ না পরে সেজন্য আমরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে গতকাল শনিবার কালিহাতী গিয়ে গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে আসেন ডিআইজি নূরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন হয় ও আপনাদের অস্ত্র কেনা হয়। তাই তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বও আপনাদের।’
ডিআইজি নূরুজ্জামান হেফাজতে ইসলামীর সন্ত্রাস ঠেকাতে পুলিশের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘হেফাজত ঢাকা অবরোধের সময় ব্যাংক লুট ও সচিবালয়ে নাশকতা করতে চেয়েছিল। পুলিশ সে অপতৎপরতা ব্যর্থ করে দেয়।’