টাকার অভাবে থেমে আছে সেই জাকিরের চিকিৎসা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে টিউমার থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাহাখালী জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে জাকির হোসেন (১৩) নামে এক শিশু। টাকার অভাবে থেমে আছে তার চিকিৎসা। টাকার অভাবে অনিয়মিত ঔষধ খেয়ে বেচেঁ আছে হতদরিদ্র পরিবারের জাকির। বর্তমানে সে ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি রয়েছে।

অসুস্থ জাকির হোসেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর সাতগীরি (মওয়ামারি) গ্রামের দিনমজুর আ. মজিদ মিয়ার ছেলে। এবং সে পার্শ্ববর্তী সাতগীরি কাটগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

জাকিরের পরিবার জানায়, বিগত পাচঁ আগে জাকিরের কাঁধে ছোট আকারের একটি টিউমার পান। পরে সেই টিউমারটি প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে তার শরীরে। কিন্তু টাকার অভাবে ভাল কোন হাসপাতালে তার চিকিৎসা করাতে পারেনি অসহায় শিশুটির পরিবার। বাধ্য হয়ে হোমিও প্যাথিক ঔষধ খেয়ে দিন কাটিয়েছে জাকির।

এদিকে জাকিরের শরীরে বেড়ে ওঠা টিউমারটি বিশাল আকার ধারন করে প্রায় দশ কেজিতে রুপ নিয়েছে। পরে গত ২৪ মে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শরীরে ক্যান্সারের সন্ধান পান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। পরে জাকিরকে দ্রুত ঢাকার ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করতে বলে রমেক কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৩০ মে) সকালে অসুস্থ জাকিরকে ঢাকার মাহাখালী ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ঔষধ কিনতে পারছেনা তার পরিবার। জাকিরের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমসিম খাচ্ছেন তার বাবা। ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে তিনি।

জাকিরের বাবা আ. মজিদ বলেন, আমি গরীব মানুষ ছেলের চিকিৎসার এতো খরচ কিভাবে চালাবো। মানুষের কাছে ধার-দেনা করে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি। এখন দুশ্চিন্তায় আছি তার ঔষধ পত্র কিনবো কি দিয়ে। আমার ছেলেটার চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে সে। আপনারা আমার ছেলের জন্য কিছু একটা করেন। জাকিরের চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন তিনি।

জাকিরকে সাহায্যে পাঠাতে ০১৭৭০ ৯৯১৬৩৬ (তার বাবা আব্দুল মজিদ) এই নাম্বারে কথা বলা যাবে। এছাড়াও আ. মজিদ মিয়া, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বামনডাঙ্গা শাখা, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা ০১০০১৩২১৩৭৬৭১ এই সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরে সাহায্য পাঠানো যাবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে জাকিরকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে সময়ের কণ্ঠস্বর। অনেকের সহযোগিতা পেয়ে জাকিরকে হাসপাতালে ভর্তি করায় তার বাবা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর