হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রায় সবত্রই নিম গাছ জন্মে। প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লাগে ১০ বছর। নিম গাছ সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়া প্রধান অঞ্চলে ভাল হয়। মাটির পিওএই ৬.২-৮.৫ এবং বৃষ্টিপাত ১৮-৪৬ ইঞ্চি ও ১২০ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রা নিম গাছের জন্য উপযোগী।
নিমের পাতা থেকে বর্তমানে প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকরী। নিমের কাঠ খুবই শক্ত। এই কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা খেতে পারে না। এই কারণে নিম কাঠের আসবাবপত্রও বর্তমানে তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রাচীনকাল থেকেই বাদ্যযন্ত্র বানানোর জন্য কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর উৎপাদন ও প্রসারকে উৎসাহ এবং অন্যায়ভাবে নিম গাছ ধ্বংস করাকে নিরুৎসাহিত করছে। নিমের এই গুনাগুনের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ এর উপকারিতা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ এর এই বড়িটি খেলে এটি আপনার শরীরে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয়ভাবে কাজ করবে।
এই বড়িটি বানাতে যা যা লাগবে–
(১) নিম পাতা
(২) কাঁচা হলুদ ২৫০ গ্রাম
(৩) পানি প্রয়োজন মত
পদ্ধতি: এবার প্রথমে নিমের পাতাগুলো আঁটি থেকে ছিঁড়ে নিয়ে ভাল করে পানি দিয়ে ধুতে হবে। কাঁচা হলুদ ও খোসা কেটে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এবার নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ আলাদা আলাদা বা একত্রে শীল পাটায় খুব মিহি করে বেটে নিবেন।
এবার এই মিশ্রণটি থেকে অল্প অল্প করে মিশ্রণ নিয়ে দুই হাতের তালুর সাহায্যে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে খুব বেশি ছোট যেন না হয়। কারণ রোদে শুকালে এগুলো আরও ছোট হয়ে যাবে। এবার সবগুলো বড়ি একটি ট্রে’তে বিছিয়ে নিয়ে রোদে শুকাতে দিতে হবে। মাঝে মধ্যে ২-১ বার এপাশ ওপাশ করে উলটে দিতে হবে যেন কোন পাশ ভেজা না থাকে। এভাবে ৩-৪ দিন রোদে শুকালে বড়িগুলো থেকে সব পানি শুকিয়ে যাবে। এখন একটি পরিষ্কার বায়ুরোধী পাত্রে বড়িগুলো আপনি অনেকদিন ধরে সংরক্ষণ করতে পারবেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে একটি করে বড়ি পানি দিয়ে গিলে খেয়ে ফেলুন।