হাওর বার্তা ডেস্কঃ জেলায় তানোরে চলতি মৌসুমে লিচু চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। কারণ এবারে চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে লিচুর চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় চাষীরা বেশ খুশি।
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ধান ও আম এর জন্য বেশ খ্যাতি রয়েছে। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের ধান ও আম দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়। কিন্তু এর সাথে যোগ হয়ে আরেকটি মৌসুমী ফল লিচু।
এখানে মাঠের পর মাঠ থাকে সবুজের অরণ্যে ঘেরা। বর্তমানে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবজিসহ বিভিন্ন ফসল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। এক সময় মৌসুমী ফল লিচু বিভিন্ন জেলা শহর থেকে ব্যবসায়ীরা আমদানি করে চাহিদা মেটাতো এ উপজেলার। কিন্তু এখন লিচু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে। অধিক লাভের এ ফল চাষে ঝুঁঁকেছেন এখানকার কৃষকরা।
এ বছর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে ও বাড়ির আঙ্গিনায় বাণিজ্যিভাবে বম্বে, চায়না-৩ জাতের লিচু চাষ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকাতা শফিকুল ইসলাম বলেন, মৌসুমী ফল লিচু লাভজনক কৃষি। এবারে এ অঞ্চলে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। লিচুর গাছ একবার হয়ে গেছে তা থেকে বছর বছর ফল পাওয়া যায়। মৌসুমী এ লিচু বাগান তৈরিতে এখন অনেক চাষী এগিয়ে আসছেন। আগামীতে এই ফল তানোরে আর সম্প্রসারণ হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
উপজলার বিভিন্ন গ্রামের লিচু চাষ করে অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন। তারা বলেন, প্রতি বছর ধান, আলু ও গম সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করে লোকসানের বোঝা বহন করতে হতো। কয়েক বছর ধরে এলাকার বেশ কয়েকজন লিচু চাষ করছেন। তাদের দেখে অনেকেই এখন লিচু চাষ করে ভাগ্য বদলিয়েছেন। লিচু একবার লাগালে ১০ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়।
লিচু বিক্রেতা রাজকুমার বলেন, এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে ২শত ৫০ টাকা থেকে ২শ ৮০ টাকা দরে লিচু বিক্রি করছেন তারা।
তানোর পৌর এলাকার গুবিরপাড়া গ্রামের লিচু ক্রেতা আনোয়ার ও রাজু বলেন, লিচুর দাম এবারে বেশি। এরপরও ছেলে-মেয়েদের জন্য কিনতে হচ্ছে মৌসুমী এ ফল। ভরা মৌসুমে দাম কমবে বলে আশা করেন তারা।
লিচু চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দেশি লিচু ২শ ৩০ থেকে ২শ ৫০ টাকা এবং চায়না-৩ জাতের একশত লিচু বিক্রি হচ্ছে ২শত ৮০ টাকা দরে।