হাওর বার্তা ডেস্কঃ সোনালি আঁশের কাঙ্খিত দাম ও কাটার পর জাগ দেওয়ার (পচানো) জায়গা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। খাল-বিলের পানি না থাকায় পাট চাষের প্রতি দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। এবার যশোরের শার্শায় লক্ষ্যমাত্রার তিন ভাগের এক ভাগও চাষ করেননি কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, সরকার পাট চাষিদের প্রতি এখনি দরদী না হলে সামনের দিনে সোনালি আঁশ পাট চাষ হুমকির মুখে পড়বে। কৃষি বিভাগ বলছেন, সংকট নিরসনে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
যশোরের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা শার্শার সবুজ শ্যামল বিস্তীর্ণ মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ইরি ধান ঘরে উঠানো শেষে অধিকাংশ জমিতে গতবার পাট এখন সেখানে অন্য ফসলের চাষ করছেন কৃষকরা। কিছু জমিতে দেখা মিলেছে পাটের। খরচ কমাতে বেশির ভাগ চাষিরাই তাদের জমিতে দিনমজুরদের সঙ্গে পাটক্ষেতের পরিচর্যায় কাজ করছেন। কেউবা রোগ এড়াতে কীটনাশক স্প্রে করছেন।
সাংবাদিকদের কথা হয় শার্শা উপজেলার পুটখালী গ্রামের পাটচাষি আমির হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, গতবার তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। বাজার দর ভাল না পাওয়ায় তার পাঁচ হাজার টাকার মতো লোকশান হয়েছে। তাই এবার তিনি কমিয়ে দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। খরচ না উঠলে চাষিরা এ চাষ বন্ধ করে দেবেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাটচাষি আমির হোসেন।
পাটচাষি কাশেম জানন, এবার পাট চাষ ভাল হলেও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে প্রচুর কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। এছাড়া প্রচন্ড তাপদাহের কারণে জমিতে পানি সেচ দিতে বাড়তি খরচ হয়েছে। এতে খরচ আর পরিশ্রমের পর যদি ভাল বাজার মূল্য না পাই তাহলে পাট নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছি তা মিথ্যা হবে।
কনেদাহ গ্রামের চাষি শওকত জানান, হাওর-বাওড়ে পাট না পচালে ভাল রং আসে না। কিন্তু এ অঞ্চলের খাল, বিলও নদী-নালা প্রায় সব প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। এছাড়া গ্রামের পুকুরগুলোতেও এখন মাছ চাষ।