ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ মদনে এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য

ক্ষেতে পানি, আধাপাকা বোরো ধান কাটছেন কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মে ২০১৮
  • ৩৯১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাবনার চাটমোহরে চলতি মৌসুমে ঝড়বৃষ্টির কারণে অপেক্ষাকৃত নিচু বোরো ধান ক্ষেতগুলোতে পানি জমতে শুরু করেছে। এ কারণেই জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন আধাপাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণের ফলে নিচু জমিগুলোতে হাঁটুপানি জমে গেছে। এতে পানিতে শুয়ে পড়েছে নিচু এলাকার আধাপাকা বোরো ধানগাছ। এদিকে, একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার খলিশাগাড়ি বিল, কুকড়াগাড়ি বিল, ডিকশির বিল, চিরইল বিল, ধলার বিল, জিয়াল বিলসহ বেশ কয়েকটি বিলের নিচু এলাকাগুলোতে কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানিতে নেমে বোরো ধান কাটছেন কৃষক। বর্ষণে বোরো ক্ষেতগুলোতে পানি জমে গেছে। ধান পচে যাওয়া এবং চিটা হওয়ার ভয়ে উঠতি ফসল ঘরে তোলার জন্য আধাপাকা ধান কেটে মাড়াই করা শুরু করেছেন এসব অঞ্চলের কৃষকরা। তবে এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন উপজেলার কৃষকরা।  উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৪শ হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে এ বোরো ধান আবাদ হয়েছে। প্রায় ৯ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

ধানচাষি করিম শেখ ও লিটনসহ অনেকে জানান, নিচু জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন তারা। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হওয়ায় জমির মধ্যে প্রায় এক ফুট পানি জমে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ধান ডুবে যেতে পারে এ আশঙ্কায় আধা পাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান রশীদ হোসাইনী জানান, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অতিবর্ষণে নিম্নাঞ্চলের কিছু অংশে পানি জমা শুরু করেছে। এ কারণে ওই এলাকার কৃষকরা আগাম ধান কেটে নিচ্ছেন। তবে সেই পরিমাণ খুব কম। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

ক্ষেতে পানি, আধাপাকা বোরো ধান কাটছেন কৃষক

আপডেট টাইম : ০১:২০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাবনার চাটমোহরে চলতি মৌসুমে ঝড়বৃষ্টির কারণে অপেক্ষাকৃত নিচু বোরো ধান ক্ষেতগুলোতে পানি জমতে শুরু করেছে। এ কারণেই জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন আধাপাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণের ফলে নিচু জমিগুলোতে হাঁটুপানি জমে গেছে। এতে পানিতে শুয়ে পড়েছে নিচু এলাকার আধাপাকা বোরো ধানগাছ। এদিকে, একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার খলিশাগাড়ি বিল, কুকড়াগাড়ি বিল, ডিকশির বিল, চিরইল বিল, ধলার বিল, জিয়াল বিলসহ বেশ কয়েকটি বিলের নিচু এলাকাগুলোতে কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানিতে নেমে বোরো ধান কাটছেন কৃষক। বর্ষণে বোরো ক্ষেতগুলোতে পানি জমে গেছে। ধান পচে যাওয়া এবং চিটা হওয়ার ভয়ে উঠতি ফসল ঘরে তোলার জন্য আধাপাকা ধান কেটে মাড়াই করা শুরু করেছেন এসব অঞ্চলের কৃষকরা। তবে এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন উপজেলার কৃষকরা।  উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৪শ হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে এ বোরো ধান আবাদ হয়েছে। প্রায় ৯ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

ধানচাষি করিম শেখ ও লিটনসহ অনেকে জানান, নিচু জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন তারা। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হওয়ায় জমির মধ্যে প্রায় এক ফুট পানি জমে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ধান ডুবে যেতে পারে এ আশঙ্কায় আধা পাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান রশীদ হোসাইনী জানান, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অতিবর্ষণে নিম্নাঞ্চলের কিছু অংশে পানি জমা শুরু করেছে। এ কারণে ওই এলাকার কৃষকরা আগাম ধান কেটে নিচ্ছেন। তবে সেই পরিমাণ খুব কম। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশা করছি।