ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেক্রিফাইজিং ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তুলতে পারত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৩৮২ বার

সালমান শাহ অভিনীত ‘কন্যাদান’ পরিচালনা করেন জনপ্রিয় নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। এ দু’জনের একমাত্র কাজ এটি। সিনেমাটি নানা কারণে আলোচিত। ‘কন্যাদান’ তথা সালমান শাহকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন ঝন্টু। সেখানে তিনি জানান, সেক্রিফাইজিং ক্যারেক্টার সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন সালমান। নিজের এ গুণপনা ভাল করেই জানতেন অকাল প্রয়াত এ নায়ক।

গুণী এই পরিচালক অমর নায়ক সালমানের জন্মদিন উপলক্ষে ১৯ সেপ্টেম্বর কথা বলেন । তিনি জানান, সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৫ সালে। বাণিজ্যিক ও প্রেমের সিনেমার ভিড়ে সালমান শাহর ক্যারিয়ারে এটি নিঃসন্দেহে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছিল সে সময়। ছবিটির জন্য গোঁফ রেখেছিলেন সালমান। পর্দায় তার উপস্থিতি যতটা না প্রেমিক বা স্বামী, তার চেয়ে বেশি বাবা। তখনকার ব্যস্ত নায়ক সালমান গতানুগতিক গল্পের বাইরে গিয়ে সিনেমাটিতে অভিনয় করার জন্য এক কথায় রাজি হয়েছিলেন।

সালমান শাহর পাশাপাশি ‘কন্যাদান’-এ অভিনয় করেন শাবানা, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন, লিমা, হুমায়ূন ফরীদি, দিলদার প্রমুখ। সিনেমাটির গল্পে দেখা যায়, সালমান শিশুপুত্র অপু ও স্ত্রীকে নিয়ে লঞ্চে বেড়াতে যাচ্ছেন। খেলা করার সময় সালমানের হাত ফসকে আচমকা পানিতে পড়ে যায় অপু। সন্তান হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে যায় মা (লিমা)। ৫ বছর মানসিক হাসপাতালে তাকে রাখা হয়। পাগল অবস্থায়ই মেয়ের জন্ম দেন লিমা। কিন্তু এই সন্তানকে তিনি কিছুতেই মেনে নেন না। এ অবস্থায় সালমান মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসক শাবানার হাতে তুলে দেন শিশুটিকে। পাঁচ বছর ধরে তাকে মায়ের স্নেহে বড় করেন শাবানা। ওদিকে লিমা সুস্থ হয়ে নিজের মেয়েকে ফেরত চান। এই নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা।

ঝন্টু বলেন, ‘শাবানার প্রোডাকশনের সিনেমা ছিল এটি। শ্রাবণ চরিত্রটির জন্য তিনিই সালমান শাহর নাম প্রস্তাব করেছিলেন। আমি সেই মতো সালমানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সালমান ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য এক কথায় রাজি হয়েছিলেন। সালমান ভাল করেই জানতেন যে, এ ধরনের সেক্রিফাইজিং ক্যারেক্টার তিনি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।’

মেলোড্রামানির্ভর সিনেমার জন্য ঝন্টু খ্যাতিমান। ফলে তার সিনেমায় চরিত্রায়নের ক্ষেত্রে ট্র্যাজেডি ভিন্নমাত্রা পায়। একই অনুষঙ্গ পাওয়া যায় ‘কন্যাদান’-এ। ‘অভিনয়ের পর সালমানের অনুভূতি কেমন ছিল?’— এমন প্রশ্নের জবাবে ঝন্টু বলেন, ‘শ্রাবণ চরিত্রটি অবশ্যই তার ভাল লেগেছিল। সালমান আমাকে বলেছিলেন যে, পরবর্তীতে তিনি আমার সিনেমায় অভিনয় করতে চান। কারণ তিনি মনে করতেন, খুব অল্প সময়ে আমি শুটিং শেষ করতে পারতাম। এ কারণে সিডিউল জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা তার থাকবে না।’

তিনি আরও জানান, সিডিউল জটিলতার সুযোগই পেলেন না সালমান। তার সঙ্গে আর কাজ করা হল না। কারণ পরের বছরই তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। বেঁচে থাকলে হয়তো আবার দেখা হতো নতুন কোনো সিনেমায়, নতুন কোনো চরিত্রে ত্যাগী সালমানকে পাওয়া যেত

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সেক্রিফাইজিং ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তুলতে পারত

আপডেট টাইম : ০৫:২৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সালমান শাহ অভিনীত ‘কন্যাদান’ পরিচালনা করেন জনপ্রিয় নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। এ দু’জনের একমাত্র কাজ এটি। সিনেমাটি নানা কারণে আলোচিত। ‘কন্যাদান’ তথা সালমান শাহকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন ঝন্টু। সেখানে তিনি জানান, সেক্রিফাইজিং ক্যারেক্টার সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন সালমান। নিজের এ গুণপনা ভাল করেই জানতেন অকাল প্রয়াত এ নায়ক।

গুণী এই পরিচালক অমর নায়ক সালমানের জন্মদিন উপলক্ষে ১৯ সেপ্টেম্বর কথা বলেন । তিনি জানান, সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৫ সালে। বাণিজ্যিক ও প্রেমের সিনেমার ভিড়ে সালমান শাহর ক্যারিয়ারে এটি নিঃসন্দেহে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছিল সে সময়। ছবিটির জন্য গোঁফ রেখেছিলেন সালমান। পর্দায় তার উপস্থিতি যতটা না প্রেমিক বা স্বামী, তার চেয়ে বেশি বাবা। তখনকার ব্যস্ত নায়ক সালমান গতানুগতিক গল্পের বাইরে গিয়ে সিনেমাটিতে অভিনয় করার জন্য এক কথায় রাজি হয়েছিলেন।

সালমান শাহর পাশাপাশি ‘কন্যাদান’-এ অভিনয় করেন শাবানা, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন, লিমা, হুমায়ূন ফরীদি, দিলদার প্রমুখ। সিনেমাটির গল্পে দেখা যায়, সালমান শিশুপুত্র অপু ও স্ত্রীকে নিয়ে লঞ্চে বেড়াতে যাচ্ছেন। খেলা করার সময় সালমানের হাত ফসকে আচমকা পানিতে পড়ে যায় অপু। সন্তান হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে যায় মা (লিমা)। ৫ বছর মানসিক হাসপাতালে তাকে রাখা হয়। পাগল অবস্থায়ই মেয়ের জন্ম দেন লিমা। কিন্তু এই সন্তানকে তিনি কিছুতেই মেনে নেন না। এ অবস্থায় সালমান মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসক শাবানার হাতে তুলে দেন শিশুটিকে। পাঁচ বছর ধরে তাকে মায়ের স্নেহে বড় করেন শাবানা। ওদিকে লিমা সুস্থ হয়ে নিজের মেয়েকে ফেরত চান। এই নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা।

ঝন্টু বলেন, ‘শাবানার প্রোডাকশনের সিনেমা ছিল এটি। শ্রাবণ চরিত্রটির জন্য তিনিই সালমান শাহর নাম প্রস্তাব করেছিলেন। আমি সেই মতো সালমানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সালমান ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য এক কথায় রাজি হয়েছিলেন। সালমান ভাল করেই জানতেন যে, এ ধরনের সেক্রিফাইজিং ক্যারেক্টার তিনি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।’

মেলোড্রামানির্ভর সিনেমার জন্য ঝন্টু খ্যাতিমান। ফলে তার সিনেমায় চরিত্রায়নের ক্ষেত্রে ট্র্যাজেডি ভিন্নমাত্রা পায়। একই অনুষঙ্গ পাওয়া যায় ‘কন্যাদান’-এ। ‘অভিনয়ের পর সালমানের অনুভূতি কেমন ছিল?’— এমন প্রশ্নের জবাবে ঝন্টু বলেন, ‘শ্রাবণ চরিত্রটি অবশ্যই তার ভাল লেগেছিল। সালমান আমাকে বলেছিলেন যে, পরবর্তীতে তিনি আমার সিনেমায় অভিনয় করতে চান। কারণ তিনি মনে করতেন, খুব অল্প সময়ে আমি শুটিং শেষ করতে পারতাম। এ কারণে সিডিউল জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা তার থাকবে না।’

তিনি আরও জানান, সিডিউল জটিলতার সুযোগই পেলেন না সালমান। তার সঙ্গে আর কাজ করা হল না। কারণ পরের বছরই তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। বেঁচে থাকলে হয়তো আবার দেখা হতো নতুন কোনো সিনেমায়, নতুন কোনো চরিত্রে ত্যাগী সালমানকে পাওয়া যেত