ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে দৃষ্টি আপিল বিভাগে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মে ২০১৮
  • ৩২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবকাশ শেষে আজ (রোববার) থেকে আবার সরব হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৮ মে (মঙ্গলবার)। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চে এ বিষয়ে বিরতীহীনভাবে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই জানা যাবে জামিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

সে হিসেবে অবকাশ শেষে কোর্ট খোলার পর থেকেই খালেদার জামিনসহ বিভিন্ন মামলার শুনানিতে সরগরম হচ্চে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন। বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য রাষ্ট্র ও আসামি উভয় পক্ষের আইনজীবীরাই প্রস্তুত রয়েছেন। এদিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সহসা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন কিনা তা জানতে সবারই দৃষ্টি এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দিকে।

কারণ তার (খালেদা জিয়া) কারামুক্তির পথ এখন আপিল বিভাগের আদেশের ওপর নির্ভর করছে এমনটাই মনে করছেন আইনজীবীরা। বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন নিয়ে আইন অঙ্গন থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চ মহল ও বিরোধীদলীয় জোটেও চলছে নানা পর্যালোচনা।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিককে বলেন, শুনানির জন্য আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি সবসময় নিয়ে রাখি। খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন কিনা; সেটা আদালতের বিষয়। আমরা শুনানির জন্য ল’ পয়েন্ট প্রস্তুতি নিচ্ছি। শুনানিতে আইনি এবং রাজনৈতিক দেশি-বিদেশি অনেক উদাহরণ টানা হতে পারে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ও বিএনপি আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিককে জানান, আপিল আবেদন ও জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আমরা ইতোমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতাদেশ উঠিয়ে নিবেন আপিল বিভাগ। আর এটা সারা দেশের সাধারণ মানুষেও প্রত্যাশা। এ নিয়ে আদালতের দিকে তো কম-বেশ সবারই নজর রয়েছে। এই আইনজীবী আরও বলেন, আশা করছি সব দিক বিবেচনা করে জামিন দেবেন আদালত।

গত ১৯ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোটের দেয়া চার মাসের জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুদক ও রাষ্ট্রপেক্ষর লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশ দেন। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের তাদের বক্তব্যের সারসংক্ষেপ দিতে বলা হয়েছে।

এ সময় আদালত বলেছেন, ৮ মে মামলাটি শুনানির জন্য তালিকায় থাকবে। কোনো ধরনের মুলতবি ছাড়া বিরতিহীনভাবে শুনানি হবে। এরপর প্রধান বিচারপতি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন এ আদেশে। সাড়ে ১১টায় আদালত আবার বসলে আপিল শুনানি এগিয়ে আনতে আরজি জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ৮ মে এই মামলা শুনানির জন্য তালিকায় শীর্ষে থাকবে। কোনো ধরনের মুলতবি ছাড়া বিরতিহীনভাবে শুনানি হবে। ৮ মে না হলেও ৯ মে’র মধ্যে এই মামলার নিস্পত্তি করব। এর আগে গত ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলেন আপিল আদালত। ওই দিনই খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

ওইদিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, রাষ্টের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, মুরাদ রেজাসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।

জামিন পাবেন আইনজীবী সমিতির সভাপতির প্রত্যাশা :

সব দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে ৮ মে জামিন দেবেন এমন প্রত্যাশা করছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেছেন, আশা করি, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সব দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন।

তিনি আরও বলেন, একজন বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে নির্জন কারাগারে বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে খালেদার এ আইনজীবী বলেন, আমরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আস্থাশীল।

খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানো নিয়ে রুল :

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্র ও খালেদা জিয়াকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে হবে। রুলের শুনানি আপিলের শুনানির সময় এক সঙ্গে হবে। দুদকের রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সাহেদুর করিমের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুদক দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই বন্দি রয়েছেন তিনি। ১২ মার্চ খালেদার চার মাসের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত। ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ ৮ মে পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে দৃষ্টি আপিল বিভাগে

আপডেট টাইম : ১০:৩৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবকাশ শেষে আজ (রোববার) থেকে আবার সরব হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৮ মে (মঙ্গলবার)। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চে এ বিষয়ে বিরতীহীনভাবে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই জানা যাবে জামিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

সে হিসেবে অবকাশ শেষে কোর্ট খোলার পর থেকেই খালেদার জামিনসহ বিভিন্ন মামলার শুনানিতে সরগরম হচ্চে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন। বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য রাষ্ট্র ও আসামি উভয় পক্ষের আইনজীবীরাই প্রস্তুত রয়েছেন। এদিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সহসা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন কিনা তা জানতে সবারই দৃষ্টি এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দিকে।

কারণ তার (খালেদা জিয়া) কারামুক্তির পথ এখন আপিল বিভাগের আদেশের ওপর নির্ভর করছে এমনটাই মনে করছেন আইনজীবীরা। বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন নিয়ে আইন অঙ্গন থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চ মহল ও বিরোধীদলীয় জোটেও চলছে নানা পর্যালোচনা।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিককে বলেন, শুনানির জন্য আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি সবসময় নিয়ে রাখি। খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন কিনা; সেটা আদালতের বিষয়। আমরা শুনানির জন্য ল’ পয়েন্ট প্রস্তুতি নিচ্ছি। শুনানিতে আইনি এবং রাজনৈতিক দেশি-বিদেশি অনেক উদাহরণ টানা হতে পারে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ও বিএনপি আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিককে জানান, আপিল আবেদন ও জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আমরা ইতোমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতাদেশ উঠিয়ে নিবেন আপিল বিভাগ। আর এটা সারা দেশের সাধারণ মানুষেও প্রত্যাশা। এ নিয়ে আদালতের দিকে তো কম-বেশ সবারই নজর রয়েছে। এই আইনজীবী আরও বলেন, আশা করছি সব দিক বিবেচনা করে জামিন দেবেন আদালত।

গত ১৯ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোটের দেয়া চার মাসের জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুদক ও রাষ্ট্রপেক্ষর লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশ দেন। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের তাদের বক্তব্যের সারসংক্ষেপ দিতে বলা হয়েছে।

এ সময় আদালত বলেছেন, ৮ মে মামলাটি শুনানির জন্য তালিকায় থাকবে। কোনো ধরনের মুলতবি ছাড়া বিরতিহীনভাবে শুনানি হবে। এরপর প্রধান বিচারপতি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন এ আদেশে। সাড়ে ১১টায় আদালত আবার বসলে আপিল শুনানি এগিয়ে আনতে আরজি জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ৮ মে এই মামলা শুনানির জন্য তালিকায় শীর্ষে থাকবে। কোনো ধরনের মুলতবি ছাড়া বিরতিহীনভাবে শুনানি হবে। ৮ মে না হলেও ৯ মে’র মধ্যে এই মামলার নিস্পত্তি করব। এর আগে গত ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলেন আপিল আদালত। ওই দিনই খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

ওইদিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, রাষ্টের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, মুরাদ রেজাসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।

জামিন পাবেন আইনজীবী সমিতির সভাপতির প্রত্যাশা :

সব দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে ৮ মে জামিন দেবেন এমন প্রত্যাশা করছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেছেন, আশা করি, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সব দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন।

তিনি আরও বলেন, একজন বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে নির্জন কারাগারে বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে খালেদার এ আইনজীবী বলেন, আমরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আস্থাশীল।

খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানো নিয়ে রুল :

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্র ও খালেদা জিয়াকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে হবে। রুলের শুনানি আপিলের শুনানির সময় এক সঙ্গে হবে। দুদকের রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সাহেদুর করিমের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুদক দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই বন্দি রয়েছেন তিনি। ১২ মার্চ খালেদার চার মাসের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত। ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ ৮ মে পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করেন।