ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের প্রটোকল সংশোধন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ মে ২০১৮
  • ২৫৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের প্রটোকলে সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধিত প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে, একান্ত ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সফরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। স্বাভাবিক সরকারি কাজের পাশাপাশি একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, জনসভায় যোগ দিতে পারেন। তবে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে জনসভায় ভাষণ দেয়া ও কর্মীদের সভায় যোগদান ব্যক্তিগত ভ্রমণ হিসেবে গণ্য হবে। ব্যক্তিগত সফরের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তবে প্রচলিত নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। আর সফরসূচি তৈরির সময় মন্ত্রীর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাতে হবে, এই সফর আদৌ সরকারি নাকি ব্যক্তিগত। সরকারি সফরের ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা রীতিমতো যানবাহন ও বাসস্থান পাবেন।

এদিকে মন্ত্রীদের প্রটোকল নিয়ে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। কোনো কোনো মন্ত্রী একান্ত ব্যক্তিগত কিংবা রাজনৈতিক সফরের সময় প্রটোকল দাবি করে বসেন। আর এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা পড়েন বিপাকে। এমনকি, কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে গেস্ট হাউসের নির্ধারিত ভাড়াও পরিশোধ করেন না। ফলে এই ভাড়া পরবর্তী সময়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পরিশোধ করতে হয়। আবার কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী তারা যেভাবে তাদের প্রটোকল চান তা অনেক সময় দেয়া সম্ভব হয় না বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এরই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর জারি করা প্রটোকলের নির্দেশনায় বেশ কিছু পরির্বতনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি জানান, এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্বাক্ষরে একটি চিঠি সব সচিব থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বিভিন্ন দাফতরিক কাজ থেকে শুরু করে সভায় যোগ দিতে হয়। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে, আবার বিদেশ থেকে দেশে আসলে তাকে বিমানবন্দরে অর্ভ্যথনা জানানোর জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। তাই এখন থেকে মন্ত্রী কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিদেশ গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কিংবা যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে মন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। জেলা সদরে যদি সম্ভব হয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আগমন ও বিদায় জানাবেন। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েরে স্থানীয় পর্যায়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। যদি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কোনো ধরনের সরকারি কর্মসূচি থাকে তাহলে মন্ত্রীর আসার জন্য বাতিল করতে হবে না। এমনকি, পরির্বতন করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মন্ত্রীর যদি মনে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক তার জেলা সদরে সফরসূচি বাতিল করবেন। তবে এর আগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক নিজেই মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারেন।

উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার মন্ত্রীর আগমন ও বিদায়ের সময় অভ্যর্থনা জানাবেন। বেশি প্রয়োজন না হলে মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশনে তিনটি জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই বলে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে এরা যদি সদর দফতরে থাকেন তা হলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।

এদিকে মন্ত্রীদের তার সফর এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরত্ব দেয়া হয়েছে এই নতুন প্রটোকলে। বলা হয়েছে, মন্ত্রীদের সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একইভাবে কোনো মন্ত্রী যদি রেলযোগে ভ্রমণ করেন তাহলেও তাকে নিরাপত্তা দিতে হবে। অর্থাৎ মন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর প্রটোকলের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে যদি ভ্রমণ হয় তাহলে জেলা সদরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকবেন। রেলের মাধ্যমে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও মন্ত্রীদের মতো ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নতুন প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের প্রটোকলে সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধিত প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে, একান্ত ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সফরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। স্বাভাবিক সরকারি কাজের পাশাপাশি একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, জনসভায় যোগ দিতে পারেন। তবে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে জনসভায় ভাষণ দেয়া ও কর্মীদের সভায় যোগদান ব্যক্তিগত ভ্রমণ হিসেবে গণ্য হবে। ব্যক্তিগত সফরের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তবে প্রচলিত নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। আর সফরসূচি তৈরির সময় মন্ত্রীর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাতে হবে, এই সফর আদৌ সরকারি নাকি ব্যক্তিগত। সরকারি সফরের ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা রীতিমতো যানবাহন ও বাসস্থান পাবেন।

এদিকে মন্ত্রীদের প্রটোকল নিয়ে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। কোনো কোনো মন্ত্রী একান্ত ব্যক্তিগত কিংবা রাজনৈতিক সফরের সময় প্রটোকল দাবি করে বসেন। আর এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা পড়েন বিপাকে। এমনকি, কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে গেস্ট হাউসের নির্ধারিত ভাড়াও পরিশোধ করেন না। ফলে এই ভাড়া পরবর্তী সময়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পরিশোধ করতে হয়। আবার কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী তারা যেভাবে তাদের প্রটোকল চান তা অনেক সময় দেয়া সম্ভব হয় না বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এরই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর জারি করা প্রটোকলের নির্দেশনায় বেশ কিছু পরির্বতনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি জানান, এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্বাক্ষরে একটি চিঠি সব সচিব থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বিভিন্ন দাফতরিক কাজ থেকে শুরু করে সভায় যোগ দিতে হয়। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে, আবার বিদেশ থেকে দেশে আসলে তাকে বিমানবন্দরে অর্ভ্যথনা জানানোর জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। তাই এখন থেকে মন্ত্রী কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিদেশ গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কিংবা যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে মন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। জেলা সদরে যদি সম্ভব হয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আগমন ও বিদায় জানাবেন। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েরে স্থানীয় পর্যায়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। যদি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কোনো ধরনের সরকারি কর্মসূচি থাকে তাহলে মন্ত্রীর আসার জন্য বাতিল করতে হবে না। এমনকি, পরির্বতন করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মন্ত্রীর যদি মনে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক তার জেলা সদরে সফরসূচি বাতিল করবেন। তবে এর আগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক নিজেই মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারেন।

উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার মন্ত্রীর আগমন ও বিদায়ের সময় অভ্যর্থনা জানাবেন। বেশি প্রয়োজন না হলে মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশনে তিনটি জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই বলে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে এরা যদি সদর দফতরে থাকেন তা হলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।

এদিকে মন্ত্রীদের তার সফর এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরত্ব দেয়া হয়েছে এই নতুন প্রটোকলে। বলা হয়েছে, মন্ত্রীদের সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একইভাবে কোনো মন্ত্রী যদি রেলযোগে ভ্রমণ করেন তাহলেও তাকে নিরাপত্তা দিতে হবে। অর্থাৎ মন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর প্রটোকলের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে যদি ভ্রমণ হয় তাহলে জেলা সদরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকবেন। রেলের মাধ্যমে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও মন্ত্রীদের মতো ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নতুন প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের প্রটোকলে সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধিত প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে, একান্ত ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সফরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। স্বাভাবিক সরকারি কাজের পাশাপাশি একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, জনসভায় যোগ দিতে পারেন। তবে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে জনসভায় ভাষণ দেয়া ও কর্মীদের সভায় যোগদান ব্যক্তিগত ভ্রমণ হিসেবে গণ্য হবে। ব্যক্তিগত সফরের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তবে প্রচলিত নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। আর সফরসূচি তৈরির সময় মন্ত্রীর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাতে হবে, এই সফর আদৌ সরকারি নাকি ব্যক্তিগত। সরকারি সফরের ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা রীতিমতো যানবাহন ও বাসস্থান পাবেন।

এদিকে মন্ত্রীদের প্রটোকল নিয়ে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। কোনো কোনো মন্ত্রী একান্ত ব্যক্তিগত কিংবা রাজনৈতিক সফরের সময় প্রটোকল দাবি করে বসেন। আর এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা পড়েন বিপাকে। এমনকি, কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে গেস্ট হাউসের নির্ধারিত ভাড়াও পরিশোধ করেন না। ফলে এই ভাড়া পরবর্তী সময়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পরিশোধ করতে হয়। আবার কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী তারা যেভাবে তাদের প্রটোকল চান তা অনেক সময় দেয়া সম্ভব হয় না বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এরই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর জারি করা প্রটোকলের নির্দেশনায় বেশ কিছু পরির্বতনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি জানান, এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্বাক্ষরে একটি চিঠি সব সচিব থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বিভিন্ন দাফতরিক কাজ থেকে শুরু করে সভায় যোগ দিতে হয়। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে, আবার বিদেশ থেকে দেশে আসলে তাকে বিমানবন্দরে অর্ভ্যথনা জানানোর জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। তাই এখন থেকে মন্ত্রী কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিদেশ গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কিংবা যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে মন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। জেলা সদরে যদি সম্ভব হয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আগমন ও বিদায় জানাবেন। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েরে স্থানীয় পর্যায়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। যদি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কোনো ধরনের সরকারি কর্মসূচি থাকে তাহলে মন্ত্রীর আসার জন্য বাতিল করতে হবে না। এমনকি, পরির্বতন করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মন্ত্রীর যদি মনে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক তার জেলা সদরে সফরসূচি বাতিল করবেন। তবে এর আগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক নিজেই মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারেন।

উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার মন্ত্রীর আগমন ও বিদায়ের সময় অভ্যর্থনা জানাবেন। বেশি প্রয়োজন না হলে মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশনে তিনটি জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই বলে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে এরা যদি সদর দফতরে থাকেন তা হলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।

এদিকে মন্ত্রীদের তার সফর এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরত্ব দেয়া হয়েছে এই নতুন প্রটোকলে। বলা হয়েছে, মন্ত্রীদের সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একইভাবে কোনো মন্ত্রী যদি রেলযোগে ভ্রমণ করেন তাহলেও তাকে নিরাপত্তা দিতে হবে। অর্থাৎ মন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর প্রটোকলের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে যদি ভ্রমণ হয় তাহলে জেলা সদরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকবেন। রেলের মাধ্যমে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও মন্ত্রীদের মতো ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নতুন প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের প্রটোকল সংশোধন

আপডেট টাইম : ১২:১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের প্রটোকলে সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধিত প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে, একান্ত ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সফরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। স্বাভাবিক সরকারি কাজের পাশাপাশি একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, জনসভায় যোগ দিতে পারেন। তবে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে জনসভায় ভাষণ দেয়া ও কর্মীদের সভায় যোগদান ব্যক্তিগত ভ্রমণ হিসেবে গণ্য হবে। ব্যক্তিগত সফরের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তবে প্রচলিত নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। আর সফরসূচি তৈরির সময় মন্ত্রীর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাতে হবে, এই সফর আদৌ সরকারি নাকি ব্যক্তিগত। সরকারি সফরের ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা রীতিমতো যানবাহন ও বাসস্থান পাবেন।

এদিকে মন্ত্রীদের প্রটোকল নিয়ে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। কোনো কোনো মন্ত্রী একান্ত ব্যক্তিগত কিংবা রাজনৈতিক সফরের সময় প্রটোকল দাবি করে বসেন। আর এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা পড়েন বিপাকে। এমনকি, কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে গেস্ট হাউসের নির্ধারিত ভাড়াও পরিশোধ করেন না। ফলে এই ভাড়া পরবর্তী সময়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পরিশোধ করতে হয়। আবার কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী তারা যেভাবে তাদের প্রটোকল চান তা অনেক সময় দেয়া সম্ভব হয় না বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এরই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর জারি করা প্রটোকলের নির্দেশনায় বেশ কিছু পরির্বতনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি জানান, এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্বাক্ষরে একটি চিঠি সব সচিব থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বিভিন্ন দাফতরিক কাজ থেকে শুরু করে সভায় যোগ দিতে হয়। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে, আবার বিদেশ থেকে দেশে আসলে তাকে বিমানবন্দরে অর্ভ্যথনা জানানোর জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। তাই এখন থেকে মন্ত্রী কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিদেশ গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কিংবা যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে মন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। জেলা সদরে যদি সম্ভব হয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আগমন ও বিদায় জানাবেন। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েরে স্থানীয় পর্যায়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। যদি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কোনো ধরনের সরকারি কর্মসূচি থাকে তাহলে মন্ত্রীর আসার জন্য বাতিল করতে হবে না। এমনকি, পরির্বতন করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মন্ত্রীর যদি মনে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক তার জেলা সদরে সফরসূচি বাতিল করবেন। তবে এর আগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক নিজেই মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারেন।

উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার মন্ত্রীর আগমন ও বিদায়ের সময় অভ্যর্থনা জানাবেন। বেশি প্রয়োজন না হলে মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশনে তিনটি জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই বলে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে এরা যদি সদর দফতরে থাকেন তা হলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।

এদিকে মন্ত্রীদের তার সফর এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরত্ব দেয়া হয়েছে এই নতুন প্রটোকলে। বলা হয়েছে, মন্ত্রীদের সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একইভাবে কোনো মন্ত্রী যদি রেলযোগে ভ্রমণ করেন তাহলেও তাকে নিরাপত্তা দিতে হবে। অর্থাৎ মন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর প্রটোকলের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে যদি ভ্রমণ হয় তাহলে জেলা সদরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকবেন। রেলের মাধ্যমে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও মন্ত্রীদের মতো ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নতুন প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের প্রটোকলে সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধিত প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে, একান্ত ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সফরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। স্বাভাবিক সরকারি কাজের পাশাপাশি একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, জনসভায় যোগ দিতে পারেন। তবে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে জনসভায় ভাষণ দেয়া ও কর্মীদের সভায় যোগদান ব্যক্তিগত ভ্রমণ হিসেবে গণ্য হবে। ব্যক্তিগত সফরের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তবে প্রচলিত নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। আর সফরসূচি তৈরির সময় মন্ত্রীর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাতে হবে, এই সফর আদৌ সরকারি নাকি ব্যক্তিগত। সরকারি সফরের ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা রীতিমতো যানবাহন ও বাসস্থান পাবেন।

এদিকে মন্ত্রীদের প্রটোকল নিয়ে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। কোনো কোনো মন্ত্রী একান্ত ব্যক্তিগত কিংবা রাজনৈতিক সফরের সময় প্রটোকল দাবি করে বসেন। আর এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা পড়েন বিপাকে। এমনকি, কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে গেস্ট হাউসের নির্ধারিত ভাড়াও পরিশোধ করেন না। ফলে এই ভাড়া পরবর্তী সময়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পরিশোধ করতে হয়। আবার কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী তারা যেভাবে তাদের প্রটোকল চান তা অনেক সময় দেয়া সম্ভব হয় না বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এরই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর জারি করা প্রটোকলের নির্দেশনায় বেশ কিছু পরির্বতনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি জানান, এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্বাক্ষরে একটি চিঠি সব সচিব থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বিভিন্ন দাফতরিক কাজ থেকে শুরু করে সভায় যোগ দিতে হয়। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে, আবার বিদেশ থেকে দেশে আসলে তাকে বিমানবন্দরে অর্ভ্যথনা জানানোর জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। তাই এখন থেকে মন্ত্রী কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিদেশ গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কিংবা যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে মন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। জেলা সদরে যদি সম্ভব হয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আগমন ও বিদায় জানাবেন। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েরে স্থানীয় পর্যায়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। যদি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কোনো ধরনের সরকারি কর্মসূচি থাকে তাহলে মন্ত্রীর আসার জন্য বাতিল করতে হবে না। এমনকি, পরির্বতন করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মন্ত্রীর যদি মনে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক তার জেলা সদরে সফরসূচি বাতিল করবেন। তবে এর আগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক নিজেই মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারেন।

উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার মন্ত্রীর আগমন ও বিদায়ের সময় অভ্যর্থনা জানাবেন। বেশি প্রয়োজন না হলে মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশনে তিনটি জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই বলে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে এরা যদি সদর দফতরে থাকেন তা হলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।

এদিকে মন্ত্রীদের তার সফর এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরত্ব দেয়া হয়েছে এই নতুন প্রটোকলে। বলা হয়েছে, মন্ত্রীদের সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একইভাবে কোনো মন্ত্রী যদি রেলযোগে ভ্রমণ করেন তাহলেও তাকে নিরাপত্তা দিতে হবে। অর্থাৎ মন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর প্রটোকলের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে যদি ভ্রমণ হয় তাহলে জেলা সদরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকবেন। রেলের মাধ্যমে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও মন্ত্রীদের মতো ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নতুন প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের প্রটোকলে সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধিত প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে, একান্ত ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সফরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। স্বাভাবিক সরকারি কাজের পাশাপাশি একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, জনসভায় যোগ দিতে পারেন। তবে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে জনসভায় ভাষণ দেয়া ও কর্মীদের সভায় যোগদান ব্যক্তিগত ভ্রমণ হিসেবে গণ্য হবে। ব্যক্তিগত সফরের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তবে প্রচলিত নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। আর সফরসূচি তৈরির সময় মন্ত্রীর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাতে হবে, এই সফর আদৌ সরকারি নাকি ব্যক্তিগত। সরকারি সফরের ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা রীতিমতো যানবাহন ও বাসস্থান পাবেন।

এদিকে মন্ত্রীদের প্রটোকল নিয়ে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। কোনো কোনো মন্ত্রী একান্ত ব্যক্তিগত কিংবা রাজনৈতিক সফরের সময় প্রটোকল দাবি করে বসেন। আর এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা পড়েন বিপাকে। এমনকি, কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে গেস্ট হাউসের নির্ধারিত ভাড়াও পরিশোধ করেন না। ফলে এই ভাড়া পরবর্তী সময়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পরিশোধ করতে হয়। আবার কোনো কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী তারা যেভাবে তাদের প্রটোকল চান তা অনেক সময় দেয়া সম্ভব হয় না বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এরই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর জারি করা প্রটোকলের নির্দেশনায় বেশ কিছু পরির্বতনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি জানান, এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্বাক্ষরে একটি চিঠি সব সচিব থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বিভিন্ন দাফতরিক কাজ থেকে শুরু করে সভায় যোগ দিতে হয়। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে, আবার বিদেশ থেকে দেশে আসলে তাকে বিমানবন্দরে অর্ভ্যথনা জানানোর জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। তাই এখন থেকে মন্ত্রী কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিদেশ গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কিংবা যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে মন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। জেলা সদরে যদি সম্ভব হয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আগমন ও বিদায় জানাবেন। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েরে স্থানীয় পর্যায়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। যদি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কোনো ধরনের সরকারি কর্মসূচি থাকে তাহলে মন্ত্রীর আসার জন্য বাতিল করতে হবে না। এমনকি, পরির্বতন করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সিনিয়র অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মন্ত্রীর যদি মনে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক তার জেলা সদরে সফরসূচি বাতিল করবেন। তবে এর আগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক নিজেই মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারেন।

উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার মন্ত্রীর আগমন ও বিদায়ের সময় অভ্যর্থনা জানাবেন। বেশি প্রয়োজন না হলে মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশনে তিনটি জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই বলে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিদের উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে এরা যদি সদর দফতরে থাকেন তা হলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।

এদিকে মন্ত্রীদের তার সফর এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরত্ব দেয়া হয়েছে এই নতুন প্রটোকলে। বলা হয়েছে, মন্ত্রীদের সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একইভাবে কোনো মন্ত্রী যদি রেলযোগে ভ্রমণ করেন তাহলেও তাকে নিরাপত্তা দিতে হবে। অর্থাৎ মন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর প্রটোকলের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব উপস্থিত থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে যদি ভ্রমণ হয় তাহলে জেলা সদরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকবেন। রেলের মাধ্যমে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও মন্ত্রীদের মতো ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নতুন প্রটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে।