ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রামের চাষিরা দিনদিন সবজির বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩২০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বেড়াশুলা গ্রামের চাষিরা দিনদিন সবজির বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছেন। তাদের উৎপাদিত সবজির বীজ দেশের বিভিন্ন নামকরা কোম্পানিসহ দেশের সবজি উৎপাদিত এলাকায় বীজের চাহিদা বাড়ছে। অল্প খরচে কম দিনে অধিক লাভবান হওয়ায় এলাকায় কৃষকদের মাঝে বীজ চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। চলতি মৌসুমেও বীজের উৎপাদনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বীজের দামও ভাল পেয়ে খুশি বীজ চাষিরা। আর সেই সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে বেড়াশূলা গ্রামের অর্থনীতির চিত্র।

বেড়াশুলা গ্রামের বীজ উৎপাদনকারি চাষি ওয়াসিম জানান, তারা সাধারণত আলতাপেটি জাতের লাল শাকের বীজ উৎপাদন করেন। মাঘ মাসে জমি ভাল করে ৩-৪ টি আড়াআড়ি চাষ দিয়ে জমি তৈরির পর বীজ ছিটান। সময় মত সেচ সার ব্যবহার করতে হয়। তিনি এবছরও তিন বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য লাল শাকের চাষ করেছেন।cultivation

একই গ্রামের কালিপোতা পাড়ার চাষি ইউনুচ আলি জানান, বিঘা প্রতি জমিতে তার সাড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভাল হলে ৬-৭ মণ বীজ উৎপাদন হবে। এ বছর প্রতিমণ বীজ ৪৬০০ থেকে ৪৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি এ বছর চার বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। এছাড়া একই গ্রামের ইব্রাহিম এক বিঘা, শাহাজান, মশিয়ার রহমান, আতিয়ার রহমান, আলমগীর হোসেন প্রত্যেকেই দেড় বিঘা করে, আলি হোসেন দুই বিঘাসহ গ্রামের মাঠে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য লাল শাকের চাষ করেছে চাষিরা।

এ বিষয়ে বীজ ব্যবসায়ী সাধুহাটি গ্রামের লাল্টু জানান, চলতি মৌসুমে বেড়াশুলা, রতনপুর, গ্যাড়ামারাসহ কয়েটি গ্রামে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে লাল শাকের বীজ উৎপাদন করছেন চাষিরা। তিনি আরও জানান, বীজ বিক্রিতে ঝামেলা নেই। উৎপাদনের পরই বীজের নমুনা বিভিন্ন কোম্পানির অফিসে পাঠানো হয়। তারা বীজে চারা গজানোর ক্ষমতা নির্ধারণ করেন।

cultivation

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মেসবাহ অহমেদ জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজির বীজ উৎপাদনে পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম। আবার আক্রমন হলেও সহজে দমন করা যায়। ফলে বাড়তি খরচ বা ঝামেলা নেই।

এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বীজ উৎপাদন চাষটা বর্তামানে আধুনিক। এখানে কম খরচে বেশি লাভ হচ্ছে। তাই চাষিরা সবজির বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রামের চাষিরা দিনদিন সবজির বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছেন

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বেড়াশুলা গ্রামের চাষিরা দিনদিন সবজির বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছেন। তাদের উৎপাদিত সবজির বীজ দেশের বিভিন্ন নামকরা কোম্পানিসহ দেশের সবজি উৎপাদিত এলাকায় বীজের চাহিদা বাড়ছে। অল্প খরচে কম দিনে অধিক লাভবান হওয়ায় এলাকায় কৃষকদের মাঝে বীজ চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। চলতি মৌসুমেও বীজের উৎপাদনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বীজের দামও ভাল পেয়ে খুশি বীজ চাষিরা। আর সেই সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে বেড়াশূলা গ্রামের অর্থনীতির চিত্র।

বেড়াশুলা গ্রামের বীজ উৎপাদনকারি চাষি ওয়াসিম জানান, তারা সাধারণত আলতাপেটি জাতের লাল শাকের বীজ উৎপাদন করেন। মাঘ মাসে জমি ভাল করে ৩-৪ টি আড়াআড়ি চাষ দিয়ে জমি তৈরির পর বীজ ছিটান। সময় মত সেচ সার ব্যবহার করতে হয়। তিনি এবছরও তিন বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য লাল শাকের চাষ করেছেন।cultivation

একই গ্রামের কালিপোতা পাড়ার চাষি ইউনুচ আলি জানান, বিঘা প্রতি জমিতে তার সাড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভাল হলে ৬-৭ মণ বীজ উৎপাদন হবে। এ বছর প্রতিমণ বীজ ৪৬০০ থেকে ৪৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি এ বছর চার বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। এছাড়া একই গ্রামের ইব্রাহিম এক বিঘা, শাহাজান, মশিয়ার রহমান, আতিয়ার রহমান, আলমগীর হোসেন প্রত্যেকেই দেড় বিঘা করে, আলি হোসেন দুই বিঘাসহ গ্রামের মাঠে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য লাল শাকের চাষ করেছে চাষিরা।

এ বিষয়ে বীজ ব্যবসায়ী সাধুহাটি গ্রামের লাল্টু জানান, চলতি মৌসুমে বেড়াশুলা, রতনপুর, গ্যাড়ামারাসহ কয়েটি গ্রামে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে লাল শাকের বীজ উৎপাদন করছেন চাষিরা। তিনি আরও জানান, বীজ বিক্রিতে ঝামেলা নেই। উৎপাদনের পরই বীজের নমুনা বিভিন্ন কোম্পানির অফিসে পাঠানো হয়। তারা বীজে চারা গজানোর ক্ষমতা নির্ধারণ করেন।

cultivation

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মেসবাহ অহমেদ জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজির বীজ উৎপাদনে পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম। আবার আক্রমন হলেও সহজে দমন করা যায়। ফলে বাড়তি খরচ বা ঝামেলা নেই।

এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বীজ উৎপাদন চাষটা বর্তামানে আধুনিক। এখানে কম খরচে বেশি লাভ হচ্ছে। তাই চাষিরা সবজির বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছে।