হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাতক্ষীরায় মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎসব শুরু হয়েছে। ফসলের বাম্পার ফলন হলেও ব্লাস্ট রোগ কেড়ে নিয়েছে কৃষকের মুখের হাসি। তবে কৃষি অধিদফতর বলছে এ বছর ধানের ভালো দাম রয়েছে, কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
মাঠে মাঠে একদিকে চলছে ধান কাটা অন্যদিকে চলছে গাছ থেকে ধান ছাড়ানোর কাজ। এ বছর বোরো আবাদের বাম্পার ফলন হলেও রোগের সংক্রমণ ভাবিয়ে তুলছে কৃষকদের। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, এ অঞ্চলে সর্বপ্রথম আমি ধান কেটেছি।
১৮ বিঘা জমিতে বেরো আবাদ করেছিলাম। জমিতে বিঘা প্রতি ১৯ মণ করে ধান পেয়েছি। কিন্তু অন্যান্য বছর ২৫-২৬ মণ করে ধান পাই। ব্লাস্ট রোগের কারণে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধান পরিমাণে কম পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, তবে গত বছর থেকে এ বছর ধানের দাম বেশি পেয়েছি। গত বছর ৮শ টাকা মণ প্রতি বিক্রি করলেও এ বছর এক হাজার টাকা বিক্রি করেছি।
কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক হাসান আলী বলেন, ধান কাটা শুরু করেছি। অন্য বছরের থোকে এ বছর ধানের ফলন বেশি হলেও পরিমাণে কম পাচ্ছি। ব্লাস্ট রোগে ধান চিটা করে নষ্ট করে দিয়েছে।
তবে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামারবাড়ির উপ পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় ৭৬ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি চার টন করে চাল পাওয়া যাবে। কৃষকরা লাভবান হবেন এবার।
তিনি বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন বেশি হয়েছে। তাছাড়া কালবৈশাখী ঝড় এবার ধানের খেতে খুব বেশি ক্ষতি করতে পারেনি। আশা করছি আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে কৃষকরা জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে।
ব্লাস্ট রোগে ধানের ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, ব্লাস্ট রোগ খুব বেশি ধানের ক্ষতি করতে পারেনি। রোগ দেখা দেয়া মাত্রই কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহার কারার পরামর্শ দেয়া হয়েছিলো। ফলে কৃষকরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তাছাড়া এবার ধানের দামও বেশি।