হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, উন্নত অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য আমাদের কৃষি কাঠামোয় আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। ক্ষুদ্র জোত জমির কৃষির পাশাপাশি বড় খামার প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ দিতে হবে। কৃষি ঋণেও সংস্কার আনতে হবে। পাশাপাশি কৃষিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। কৃষিতে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ালে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।
আজ শনিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতি সমিতির বার্ষিক সম্মেলন-২০১৮ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত এ সম্মেলনে কৃষি অর্থনীতির বিকাশে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক প্রফেসর ড. আ. মু. মুয়াজ্জাম হোসেন, প্রফেসর ড. সাত্তার মন্ডল এবং সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম সম্মননা ও স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
সমিতির সভাপতি সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ, বিসিএস একাডেমির রেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার এনডিসি, সমিতির মহাসচিব ড. মুজিবুল হক চুন্নু ও ড. মিহির কুমার রায়। সম্মেলনের কারিগরী অধিবেশনে ২০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন আরও বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা টেকসই করতে হলে কৃষি ক্ষেত্রে সুচিত বিপ্লবের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষির যান্ত্রিকীকরণের সাথে আমাদের কৃষকদের খাপ খাওয়াতে হবে। যান্ত্রিকীকরণের ফলে কাজ হারা কোনো কৃষক যাতে সমাজের জন্য বোঝা না হয়, সেজন্য ঝরে পড়া কৃষক ও শ্রম শক্তিকে প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কৃষির মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।