ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি লাঘবে আন্তরিক হতে হবে : প্রধান বিচারপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০১৫
  • ৩৭৫ বার

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি লাঘবে বিচারক, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক ও দায়িত্বশীর হতে হবে। শনিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বার ও বেঞ্চের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধ আইনজীবীর ত্রুটির কারণেই ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মামলায় বিচারপ্রার্থীরা হেরে যান।

তিনি বলেন, এখন নবীন আইনজীবীরা কোন সিনিয়র চেম্বারে এটেন্ট করেন না। এই সিস্টেমটি উঠে গেছে। আমাদের জীবনে প্রথম পাঁচ বছরে জামিনের জন্য কোর্টে দাঁড়াতেও সাহস পাইনি। সিনিয়রদের ডিক্টেশন লিখতে লিখতে হাতে কড়া পড়ে যেত। এখন তো সহজ হয়ে গেছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, নিম্ন আদালতে দুপুরের পর কোর্টে কোন আইনজীবীই থাকেন না। জুনিয়রদের দিয়ে শুধু সময় নেন। আবার কড়া একজন বিচারপতি পড়লে তাকে তাড়ানোর জন্য বার থেকে বিভিন্নভাবে আন্দোলন শুরু করে দেন আইনজীবীরা। এভাবে চললে তো মামলার জট বাড়তেই থাকবে।

তিনি বলেন, আইনের শাসন বলতে আমি বুঝি, প্রথমে আমি আমার দায়িত্ব পালন করি তারপর আরেকজনকে বলি।

প্রধান বিচারপতি বলেন,  বিচার বিভাগ সব সময় চাপের মধ্যে থাকে। নিম্ন আদালতে ২৮ লাখ ৩০ হাজার মামলার জট রয়েছে। এ মামলা থেকে উত্তরণের জন্য দরকার বিচারকদেরও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিচার বিভাগের চাহিদা তুলে ধরলেই অনেক জায়গা থেকে বিমাতাসূলভ আচরণ করা হয়।

ট্রেনিংয়ের জায়গা অপ্রতুল হওয়ায় বিচারকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগের এবং বিচারকদের প্রকৃতপক্ষে যদি স্বাধীনতা দিতে চাই। তাহলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে যা আছে তা পুনঃস্থাপন করতে হবে। না হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোন দিনই থাকবে না।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক উন্নয়নে কয়েক দফা প্রস্তাব তুলে ধরে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী।

সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বিচারপতি আওলাদ আলী, বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ। খবর বাসস।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি লাঘবে আন্তরিক হতে হবে : প্রধান বিচারপতি

আপডেট টাইম : ০৩:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০১৫

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি লাঘবে বিচারক, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক ও দায়িত্বশীর হতে হবে। শনিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বার ও বেঞ্চের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধ আইনজীবীর ত্রুটির কারণেই ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মামলায় বিচারপ্রার্থীরা হেরে যান।

তিনি বলেন, এখন নবীন আইনজীবীরা কোন সিনিয়র চেম্বারে এটেন্ট করেন না। এই সিস্টেমটি উঠে গেছে। আমাদের জীবনে প্রথম পাঁচ বছরে জামিনের জন্য কোর্টে দাঁড়াতেও সাহস পাইনি। সিনিয়রদের ডিক্টেশন লিখতে লিখতে হাতে কড়া পড়ে যেত। এখন তো সহজ হয়ে গেছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, নিম্ন আদালতে দুপুরের পর কোর্টে কোন আইনজীবীই থাকেন না। জুনিয়রদের দিয়ে শুধু সময় নেন। আবার কড়া একজন বিচারপতি পড়লে তাকে তাড়ানোর জন্য বার থেকে বিভিন্নভাবে আন্দোলন শুরু করে দেন আইনজীবীরা। এভাবে চললে তো মামলার জট বাড়তেই থাকবে।

তিনি বলেন, আইনের শাসন বলতে আমি বুঝি, প্রথমে আমি আমার দায়িত্ব পালন করি তারপর আরেকজনকে বলি।

প্রধান বিচারপতি বলেন,  বিচার বিভাগ সব সময় চাপের মধ্যে থাকে। নিম্ন আদালতে ২৮ লাখ ৩০ হাজার মামলার জট রয়েছে। এ মামলা থেকে উত্তরণের জন্য দরকার বিচারকদেরও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিচার বিভাগের চাহিদা তুলে ধরলেই অনেক জায়গা থেকে বিমাতাসূলভ আচরণ করা হয়।

ট্রেনিংয়ের জায়গা অপ্রতুল হওয়ায় বিচারকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগের এবং বিচারকদের প্রকৃতপক্ষে যদি স্বাধীনতা দিতে চাই। তাহলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে যা আছে তা পুনঃস্থাপন করতে হবে। না হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোন দিনই থাকবে না।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক উন্নয়নে কয়েক দফা প্রস্তাব তুলে ধরে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী।

সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বিচারপতি আওলাদ আলী, বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ। খবর বাসস।