সাড়া জাগানো অভিনেত্রী শাবানা সিনেমা ও দেশ ছেড়েছেন বহুদিন হলো। দেড় যুগ ধরে ক্যামেরার সামনে ধরা দেন না তিনি। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে পরিবার নিয়েই আছেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।
১৯৯৭ সালে অভিনয় ছাড়ার পর ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বসবাস করছেন এ অভিনেত্রী। মাঝে মাঝে চুপিসারে বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। তবে তা ভক্তদের অজান্তে। তবে এবার এক বিয়ের অনুষ্ঠানে ক্যামেরার ফ্রেমে ধরা পড়লেন শাবানা।
বিয়ের অনুষ্ঠানে ক্যামেরার ফ্রেমে শাবানা
গত বুধবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা যায় শাবানাকে। সেখানেই চিত্রগ্রাহক অপূর্ব আব্দুল লতিফের ক্যামেরায় দৃশ্যবন্দি হন শাবানা। দেখা মেলে সেই চিরচেনা শাবানার হাসিমুখটি।
১৯৬৭ সালে চকোরী চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে শাবানার। যার পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। শাবানা নামটি এ পরিচালকের দেয়া। তখন উর্দু ছবির সাথে বাংলা ছবির প্রতিযোগিতা হত এবং শাবানা প্রথমদিকে উর্দু ছবিই বেশি করতেন।
‘অবুজ মন’এবং ‘মধু মিলন’এই দুটি সিনেমার মাধ্যমে তিনি রাজ্জাকের সাথে জুটি গড়ে তোলেন। চলচ্চিত্রের রাজনীতি থেকে বাঁচতে শাবানা তার বাবাকে নিয়ে নতুন চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা গড়ে তোলেন। ১৯৬৯ সালে এ প্রযোজনা সংস্থার প্রথম সিনেমা মুক্তি পায়।
বিয়ের অনুষ্ঠানে ক্যামেরার ফ্রেমে শাবানা
শাবানা মোট ১০ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি প্রথম এই পুরস্কার পান ‘জননী’ সিনেমার জন্য। তার অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে আছে প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার, আর্ট ফোরাম পুরস্কার, নাট্যসভা পুরস্কার, কামরুল হাসান পুরস্কার, নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার, সায়েন্স ক্লাব পুরস্কার, কথক একাডেমি পুরস্কার এবং জাতীয় যুব সংগঠন পুরস্কার।