ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিলমারীতে গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৫:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩৩৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাঠে মাঠে গমের সোনালি শীষ দোল খাচ্ছে বাতাসে আর আশায় বুক ভরছে কৃষকের। আর সেই হাসিমাখা মুখ নিয়ে ব্যস্ত এখন কৃষক। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এবারে গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা। এ অঞ্চলের মানুষ সাধারণত রবিশস্যের ওপর নির্ভরশীল। সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃত কৃষকের মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো হলুদ আর সোনালি মাঠ রঙের সমারোহ। যেন চারদিকে গমের সেই সোনালি রঙে নয়ন জুড়ানো দৃশ্য মেতে উঠেছে ফসলের মাঠে। হলুদ-সোনালি রঙে সাজিয়ে তুলেছে প্রকৃতির রূপকে।

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে গত বছরের চেয়ে গমের ভালো ফলন হয়েছে। গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রতিটি কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সরাসরি কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে। পাশাপাশি সরকারপাড়া, বেলেরভিটাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কৃষকদের গম খেত দেখে বিভিন্ন পরামর্শ দিতে দেখা গেছে উপসহকারী কৃষি অফিসার কবিরুল ইসলামকে। তবে অনেক এলাকায় কৃষি বিভাগের লোকজনকে পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই কৃষকরা গমের ফসল ঘরে তুলবেন। গমের বাম্পার ফলন দেখা দেওয়ায় কৃষকরা ভালো দামের স্বপ্ন দেখছেন। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ১৫ থেকে ১৬ মণ হারে ফলন হতে পারে বলে জানান কৃষি অফিস ও প্রান্তিক কৃষকরা।

উপজেলার রমনা ইউনিয়নের সরকার পাড়া এলাকার মহসিন আলী, দেলাবর হোসেন জানান কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উন্নতমানের গম বীজ ফলানো হয়েছে। বিঘাপ্রতি চার থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং এ বছর গমের বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। তবে গমের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। চলতি মৌসুমে যদি গমের ভালো দাম না হয় কৃষকরা গম চাষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ খালেদুর রহমান জানান, এ বছর উপজেলার ৭০৫ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ করা হয়েছে। এবারে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল গম বীজ দিয়ে কৃষকরা ফসল ফলিয়েছে। বিভিন্ন কারণে ও সঠিক দাম না পাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এ বছর গমের আবাদ কিছুটা কমেছে। তবে কৃষকরা এ বছর ভালো দাম পেলেই আগামী বছরের আবারও গমের ফলন বাড়বে বলে আশা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চিলমারীতে গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি

আপডেট টাইম : ০৩:৪৫:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাঠে মাঠে গমের সোনালি শীষ দোল খাচ্ছে বাতাসে আর আশায় বুক ভরছে কৃষকের। আর সেই হাসিমাখা মুখ নিয়ে ব্যস্ত এখন কৃষক। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এবারে গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা। এ অঞ্চলের মানুষ সাধারণত রবিশস্যের ওপর নির্ভরশীল। সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃত কৃষকের মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো হলুদ আর সোনালি মাঠ রঙের সমারোহ। যেন চারদিকে গমের সেই সোনালি রঙে নয়ন জুড়ানো দৃশ্য মেতে উঠেছে ফসলের মাঠে। হলুদ-সোনালি রঙে সাজিয়ে তুলেছে প্রকৃতির রূপকে।

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে গত বছরের চেয়ে গমের ভালো ফলন হয়েছে। গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রতিটি কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সরাসরি কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে। পাশাপাশি সরকারপাড়া, বেলেরভিটাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কৃষকদের গম খেত দেখে বিভিন্ন পরামর্শ দিতে দেখা গেছে উপসহকারী কৃষি অফিসার কবিরুল ইসলামকে। তবে অনেক এলাকায় কৃষি বিভাগের লোকজনকে পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই কৃষকরা গমের ফসল ঘরে তুলবেন। গমের বাম্পার ফলন দেখা দেওয়ায় কৃষকরা ভালো দামের স্বপ্ন দেখছেন। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ১৫ থেকে ১৬ মণ হারে ফলন হতে পারে বলে জানান কৃষি অফিস ও প্রান্তিক কৃষকরা।

উপজেলার রমনা ইউনিয়নের সরকার পাড়া এলাকার মহসিন আলী, দেলাবর হোসেন জানান কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উন্নতমানের গম বীজ ফলানো হয়েছে। বিঘাপ্রতি চার থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং এ বছর গমের বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। তবে গমের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। চলতি মৌসুমে যদি গমের ভালো দাম না হয় কৃষকরা গম চাষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ খালেদুর রহমান জানান, এ বছর উপজেলার ৭০৫ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ করা হয়েছে। এবারে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল গম বীজ দিয়ে কৃষকরা ফসল ফলিয়েছে। বিভিন্ন কারণে ও সঠিক দাম না পাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এ বছর গমের আবাদ কিছুটা কমেছে। তবে কৃষকরা এ বছর ভালো দাম পেলেই আগামী বছরের আবারও গমের ফলন বাড়বে বলে আশা করছি।