সুমন মিয়া তাড়াইল প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ২নং রাউতি ইউনিয়নের মেছগাঁও গ্রামের বিধবা সুমি আক্তার স্বামীর পৈতৃক সম্পত্তি ফেরত পেতে প্রশাসনের ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
জানা গেছে, বিগত ৫বছর আগে সড়ক দূর্ঘটনায় সুমি আক্তারের স্বামী আবদুল লতিফ তিনটি শিশু পুত্রসন্তান রেখে মারা যান। অকালে স্বামীকে হারিয়ে স্বামীর পৈতৃক ওয়ারিশান স্বত্বে পাওয়া জমি ও মেছগাঁও বাজারে একটি দোকানের হাল ধরেন সুমি আক্তার। তিন শিশুপুত্র নিয়ে সুমি আক্তারের দিন কোনো রকম চলাছিল। কিন্তু ইদানিং সুমি আক্তারের সুখের ঘরে বাঁধা হয়ে দাড়াঁলো চাচা শশুর মৃত আবদুল লতিফের চাচা সাবেক ইউপি মেম্বার শহীদ মিয়া।
বিগত ১৯ মার্চ’ ২০১৮খ্রি. চাচা শশুর শহীদ মিয়ার বিরুদ্ধে তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন সুমি আক্তার। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঐদিন সকাল ৯টায় মৃত আবদুল লতিফ (স্বামীর) রেখে যাওয়া দোকানে কাজ করতে গেলে শহীদ মেম্বার ও তার ছেলেরা সুমি আক্তার এবং তার নাবালক ছেলেদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারপিট করে দোকান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
অভিযোগসূত্রে আরো জানা যায়, এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আগেও শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করলেও শহীদ মেম্বারের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে মীমাংসার বিষয়টি ভেস্তে যায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে শহীদ মেম্বারের সাথে তার মুঠোফোনে (০১৯০৪-৪৮০০২৫) যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াটা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন নাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তবে প্রতি বুধবারে শুনানী হয়, আমি আগামী বুধবারে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো।