ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ফেঁসে যাচ্ছেন দুই সম্পাদক, দুই ব্যবসায়ী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮
  • ৩৯৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই দুটি মিথ্যা মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘুষ গ্রহণের ওই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা করা হয় এবং বিএনপি-জামাত জোটের করা মামলাগুলোও পুনরুজ্জীবিত করা হয়। কিন্তু এই সব মামলাই হাইকোর্ট বাতিল করে দেয়। এসব মামলা খারিজ করে হাইকোর্ট তার রায়ে উল্লেখ করেছিল ‘নূন্যতম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই মামলা করা হয়েছিল।’

অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার আগে ‘ডেইলি স্টার’ এবং ’প্রথম আলো’ তাঁর বিরুদ্ধে দুটি কথিত দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করে। পরবর্তীতে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম স্বীকার করেন যে, ওই তথ্যগুলো ছিল ডিজিএফআই কর্তৃক প্রদত্ত। তিনি এটাও বলেন যে, যাচাই বাছাই ছাড়াই ওই রিপোর্ট গুলো প্রকাশ করা হয়েছিল। তাঁর ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরী এবং নুর আলী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। পরবর্তীতে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলে যে, মামলাগুলো ছিল অসত্য, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মনগড়া। এই পরিপ্রেক্ষিতে যাদের মিথ্যা মামলা ও যোগসাজশের কারণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০০৮ সালের ১১জুন পর্যন্ত বিনা বিচারে গ্রেপ্তার ছিলেন-তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘মিথ্যে অভিযোগে যারা আমাকে গ্রেপ্তার করেছিল তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

সরকারের একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে গ্রেপ্তারে প্ররোচিত করার অভিযোগে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। একই ভাবে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে প্রাইম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরী ও ওয়েস্টিন হোস্টেলের মালিক নূর আলীর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। ওই সময় শেখ হাসিনার অন্যতম কৌসুলি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে কাউকে গ্রেপ্তার করানো ফৌজদারি অপরাধ।’তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি আইনেই আছে কারও বিরুদ্ধে অসত্য মামলা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ‘তিনি জানান, আমরা এসবের আইনগত দিকগুলো প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। তাপস বলেন, ‘ভবিষ্যতে কেউ যেন এভাবে কোনো জনপ্রিয় নেতার চরিত্র হনন করতে না পারে সেজন্যই এই উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

ফেঁসে যাচ্ছেন দুই সম্পাদক, দুই ব্যবসায়ী

আপডেট টাইম : ১২:৩২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই দুটি মিথ্যা মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘুষ গ্রহণের ওই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা করা হয় এবং বিএনপি-জামাত জোটের করা মামলাগুলোও পুনরুজ্জীবিত করা হয়। কিন্তু এই সব মামলাই হাইকোর্ট বাতিল করে দেয়। এসব মামলা খারিজ করে হাইকোর্ট তার রায়ে উল্লেখ করেছিল ‘নূন্যতম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই মামলা করা হয়েছিল।’

অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার আগে ‘ডেইলি স্টার’ এবং ’প্রথম আলো’ তাঁর বিরুদ্ধে দুটি কথিত দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করে। পরবর্তীতে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম স্বীকার করেন যে, ওই তথ্যগুলো ছিল ডিজিএফআই কর্তৃক প্রদত্ত। তিনি এটাও বলেন যে, যাচাই বাছাই ছাড়াই ওই রিপোর্ট গুলো প্রকাশ করা হয়েছিল। তাঁর ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরী এবং নুর আলী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। পরবর্তীতে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলে যে, মামলাগুলো ছিল অসত্য, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মনগড়া। এই পরিপ্রেক্ষিতে যাদের মিথ্যা মামলা ও যোগসাজশের কারণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০০৮ সালের ১১জুন পর্যন্ত বিনা বিচারে গ্রেপ্তার ছিলেন-তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘মিথ্যে অভিযোগে যারা আমাকে গ্রেপ্তার করেছিল তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

সরকারের একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে গ্রেপ্তারে প্ররোচিত করার অভিযোগে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। একই ভাবে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে প্রাইম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরী ও ওয়েস্টিন হোস্টেলের মালিক নূর আলীর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। ওই সময় শেখ হাসিনার অন্যতম কৌসুলি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে কাউকে গ্রেপ্তার করানো ফৌজদারি অপরাধ।’তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি আইনেই আছে কারও বিরুদ্ধে অসত্য মামলা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ‘তিনি জানান, আমরা এসবের আইনগত দিকগুলো প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। তাপস বলেন, ‘ভবিষ্যতে কেউ যেন এভাবে কোনো জনপ্রিয় নেতার চরিত্র হনন করতে না পারে সেজন্যই এই উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি।