হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উপজেলায় বিএডিসি সার গোডাউনে সিএনএফ কর্তৃক নিয়োজিত ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত দুই হাজার বস্তা ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট (ড্যাপ) সারে প্রতি বস্তায় এক থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজনে কম থাকায় সরবরাহকৃত সারের চালান গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ভৈরব গোডাউনের ভান্ডার রক ও উপ-সহকারী পরিচালক। অপর দিকে সারের বস্তায় হুকিং নিষিদ্ধ হলেও অবাধে ব্যবহার হচ্ছে হুক, ফলে নষ্ট হচ্ছে সারের গুণগত মান।
ড্যাপ সারে ওজনে কম পাওয়া এবং হুক ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন বিএডিসি ভৈরব অফিস ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম। তিনি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৭ মার্চ আশুগঞ্জ সিএনএফ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাব এজেন্ট রোমান এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ছয় শত বস্তা নন ইউরিয়া ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট (ড্যাপ) সার নৌকা যোগে ভৈরব বিএডিসি সার গোডাউনে পাঠানো হয়। এই সার ভান্ডার রক ওজন করে বুঝে নেওয়ার সময় প্রতিবস্তায় ৪ থেকে ৫ কেজি করে কম পাওয়া যায়। ওজনে কম থাকার কারণে কর্তৃপ সার বুঝে নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বস্তা রিব্যাগিং করে দেওয়ার আশ্বাসে সার গোডাউনে উঠানো হয়। একই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ১৯ মার্চ আবারো ১ হাজার ৪ শত বস্তা ড্যাপ সার পাঠানো হয়। যার প্রায় সব ব্যাগই ওজনে কম।