ঢাকা ০২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশুর হাটে জালনোট রোধে ৪৫০টি মেশিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৩৬০ বার

চলতি মাসের ২৪ অথবা ২৫ তারিখে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এজন্য কোরবানি পশুর কেনাবেচায় রাজধানীসহ সারাদেশে জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর হাট। পশুর হাটে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা লেনদেনের সময় সুযোগ বুঝে সক্রিয় থাকে জালটাকার কারবারিরা। সারাদেশের পশুর হাটে জালনোট ঠেকাতে ৪৫০টি জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সূত্র জানায়, ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশুর বিক্রির হাট বসতে শুরু করেছে। হাট বসার আগেই পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর জালনোট প্রতিরোধের জন্য কি পরিমাণ মেশিন প্রয়োজন তার চাহিদাপত্র চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাহিদার প্রেক্ষিতে এবার ৪৫০টি জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর হাটগুলোর জন্য ডিএমপিকে দেয়া হয়েছে ১৭০টি মেশিন। আর সারাদেশের হাটগুলোর জন্য দেয়া হয়েছে ২৮০টি মেশিন। এছাড়া গত ঈদে ২০০টি জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন বিতরণ করা হয়। সূত্র জানায়, ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ৮৫৩টি জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া হাটগুলোতে জালনোটের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে ৩৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। হাটগুলোতে ব্যাংকের বুথ থাকবে। এসব বুথেও ব্যাংকগুলোর নিজস্ব জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন থাকবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম মনিটর করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই সেখানে সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা (চেস্ট শাখা) মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। এছাড়া জালটাকার কারবারিদের ওপর নজর রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত সম্ভাব্য কারবারি এবং জামিনে থাকা কারবারিদের ওপর বিশেষ নজর রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতরা যেন আইনের আওতায় শাস্তি পায় সে ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও জালনোট প্রতিরোধে জনগণকে সচেতনতার অংশ হিসেবে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসংবলিত ভিডিওচিত্র প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোরবানির হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে লেনদেনের সময় মেশিনের সাহায্যে নোট পরীক্ষা করে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, প্রতি ঈদেই বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিপণিবিতানে জালনোট শনাক্তকারী মেশিন সরবরাহ করে থাকি। এবারের ঈদে পশুর হাটগুলোতে ৪৫০টি মেশিন দেয়া হয়েছে। চাহিদার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসগুলোতে এসব মেশিন দেয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পশুর হাটে জালনোট রোধে ৪৫০টি মেশিন

আপডেট টাইম : ০৯:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

চলতি মাসের ২৪ অথবা ২৫ তারিখে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এজন্য কোরবানি পশুর কেনাবেচায় রাজধানীসহ সারাদেশে জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর হাট। পশুর হাটে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা লেনদেনের সময় সুযোগ বুঝে সক্রিয় থাকে জালটাকার কারবারিরা। সারাদেশের পশুর হাটে জালনোট ঠেকাতে ৪৫০টি জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সূত্র জানায়, ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশুর বিক্রির হাট বসতে শুরু করেছে। হাট বসার আগেই পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর জালনোট প্রতিরোধের জন্য কি পরিমাণ মেশিন প্রয়োজন তার চাহিদাপত্র চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাহিদার প্রেক্ষিতে এবার ৪৫০টি জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর হাটগুলোর জন্য ডিএমপিকে দেয়া হয়েছে ১৭০টি মেশিন। আর সারাদেশের হাটগুলোর জন্য দেয়া হয়েছে ২৮০টি মেশিন। এছাড়া গত ঈদে ২০০টি জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন বিতরণ করা হয়। সূত্র জানায়, ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ৮৫৩টি জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া হাটগুলোতে জালনোটের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে ৩৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। হাটগুলোতে ব্যাংকের বুথ থাকবে। এসব বুথেও ব্যাংকগুলোর নিজস্ব জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন থাকবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম মনিটর করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই সেখানে সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা (চেস্ট শাখা) মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। এছাড়া জালটাকার কারবারিদের ওপর নজর রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত সম্ভাব্য কারবারি এবং জামিনে থাকা কারবারিদের ওপর বিশেষ নজর রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতরা যেন আইনের আওতায় শাস্তি পায় সে ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও জালনোট প্রতিরোধে জনগণকে সচেতনতার অংশ হিসেবে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসংবলিত ভিডিওচিত্র প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোরবানির হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে লেনদেনের সময় মেশিনের সাহায্যে নোট পরীক্ষা করে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, প্রতি ঈদেই বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিপণিবিতানে জালনোট শনাক্তকারী মেশিন সরবরাহ করে থাকি। এবারের ঈদে পশুর হাটগুলোতে ৪৫০টি মেশিন দেয়া হয়েছে। চাহিদার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসগুলোতে এসব মেশিন দেয়া হয়েছে।