ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

লবণাক্ত জমিতে বহুমুখী ফসল উৎপাদনের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মার্চ ২০১৮
  • ৩২১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর দক্ষিণাঞ্চলের ফসলি জমিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বাড়ার কারণে কৃষি খাত বিপর্যস্ত। অথচ উপকূলের সাড়ে ১৭ লাখ পরিবার কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। এ পরিস্থিতিতে লবণাক্ত জমিকে বহুমুখী ফসল উৎপাদনের উপযোগী করার এক গবেষণায় সফলতা এসেছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই), সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগ যৌথভাবে এ গবেষণা চালায়।

২০১৪ সালে বিএআরআই দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পতিত জমিতে বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ‘শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি’ নামে একটি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয়। ওই প্রকল্পের অধীনে ২০১৪ সালে বরগুনার আমতলী উপজেলার বান্দ্রা বাজারসংলগ্ন সেকান্দারখালী গ্রামে ৫০ শতক জমিতে প্রথমে গবেষণামূলক এই কাজ শুরু করা হয়।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আলিমুর রহমান বলেন, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত এসব জমির লবণাক্ততার মাত্রা ২ থেকে ১০ ডিএস/মিটার। অর্থাৎ প্রতি মিটারে ২ থেকে ১০ ডিএস পর্যন্ত। ফসল উৎপাদনের জন্য জমিতে ২ ডিএস সহনীয় মাত্রা। এর বেশি লবণাক্ত জমিতে ফসল উৎপাদন করা যায় না। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ওই লবণাক্ত পতিত জমিতে এখন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।

বিএআরআই সূত্র জানায়, গবেষণায় প্রথম বছর উল্লেখযোগ্য সফলতা পাওয়া যায়নি। তবে গবেষক ও কৃষকেরা হাল না ছেড়ে জমির আয়তন সম্প্রসারণ করে এই গবেষণা চালাতে থাকেন। ২০১৬ সালে সফলতা আসে। দেশীয় কৃষি গবেষকদের এই সফলতার পর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ (এসিআইএআর) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) যৌথ অর্থায়নে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে ওই এলাকার ১ দশমিক ৫ হেক্টর এবং চলতি বছর ৩ হেক্টর অতিমাত্রার লবণাক্ত জমিতে শস্য আবাদে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে।

কৃষকেরা বলছেন, বান্দ্রা এলাকার ওই তিন হেক্টর জমিতে আগে লবণাক্ততার কারণে তেমন ফসল হতো না। এক ফসলি জমিতে কেবল আমন ধান চাষ করতেন তাঁরা। কিন্তু ফলন হতো খুব কম, যা দিয়ে উৎপাদন খরচই উঠত না। কিন্তু নতুন প্রযুক্তি ও বীজ ব্যবহার করে গত কয়েক বছরে এই তিন হেক্টর জমিকে বহু ফসলি জমিতে রূপান্তর করেছেন তাঁরা।

এম জসীম উদ্দীন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

লবণাক্ত জমিতে বহুমুখী ফসল উৎপাদনের

আপডেট টাইম : ০৪:৩৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর দক্ষিণাঞ্চলের ফসলি জমিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বাড়ার কারণে কৃষি খাত বিপর্যস্ত। অথচ উপকূলের সাড়ে ১৭ লাখ পরিবার কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। এ পরিস্থিতিতে লবণাক্ত জমিকে বহুমুখী ফসল উৎপাদনের উপযোগী করার এক গবেষণায় সফলতা এসেছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই), সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগ যৌথভাবে এ গবেষণা চালায়।

২০১৪ সালে বিএআরআই দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পতিত জমিতে বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ‘শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি’ নামে একটি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয়। ওই প্রকল্পের অধীনে ২০১৪ সালে বরগুনার আমতলী উপজেলার বান্দ্রা বাজারসংলগ্ন সেকান্দারখালী গ্রামে ৫০ শতক জমিতে প্রথমে গবেষণামূলক এই কাজ শুরু করা হয়।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আলিমুর রহমান বলেন, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত এসব জমির লবণাক্ততার মাত্রা ২ থেকে ১০ ডিএস/মিটার। অর্থাৎ প্রতি মিটারে ২ থেকে ১০ ডিএস পর্যন্ত। ফসল উৎপাদনের জন্য জমিতে ২ ডিএস সহনীয় মাত্রা। এর বেশি লবণাক্ত জমিতে ফসল উৎপাদন করা যায় না। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ওই লবণাক্ত পতিত জমিতে এখন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।

বিএআরআই সূত্র জানায়, গবেষণায় প্রথম বছর উল্লেখযোগ্য সফলতা পাওয়া যায়নি। তবে গবেষক ও কৃষকেরা হাল না ছেড়ে জমির আয়তন সম্প্রসারণ করে এই গবেষণা চালাতে থাকেন। ২০১৬ সালে সফলতা আসে। দেশীয় কৃষি গবেষকদের এই সফলতার পর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ (এসিআইএআর) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) যৌথ অর্থায়নে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে ওই এলাকার ১ দশমিক ৫ হেক্টর এবং চলতি বছর ৩ হেক্টর অতিমাত্রার লবণাক্ত জমিতে শস্য আবাদে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে।

কৃষকেরা বলছেন, বান্দ্রা এলাকার ওই তিন হেক্টর জমিতে আগে লবণাক্ততার কারণে তেমন ফসল হতো না। এক ফসলি জমিতে কেবল আমন ধান চাষ করতেন তাঁরা। কিন্তু ফলন হতো খুব কম, যা দিয়ে উৎপাদন খরচই উঠত না। কিন্তু নতুন প্রযুক্তি ও বীজ ব্যবহার করে গত কয়েক বছরে এই তিন হেক্টর জমিকে বহু ফসলি জমিতে রূপান্তর করেছেন তাঁরা।

এম জসীম উদ্দীন