ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়ার চাষে ঝুঁকছে চাষিরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৩১৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের বাজারসহ ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁকড়ার চাহিদা বাড়ায় বাগেরহাটে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়ার চাষ। দেশের সাদা সোনা হিসেবে পরিচিতি চিংড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রপ্তানির তালিকায় ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে উপকূলীয় এলাকার জলজ প্রাণি কাঁকড়া। লাভজনক ও মৃত্যুর ঝুঁকি না থাকায় কাঁকড়া চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে চাষিরা।

সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় প্রদর্শনী কাঁকড়া খামার স্থাপন হওয়ায় অনেক চাষি চিংড়ি চাষ ছেড়ে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছে। মৎস্য বিভাগ প্রদর্শনী খামারগুলোতে খাঁচায়, পেনে ও কিশোর নামের তিন ধরনের কাঁকড়া চাষে কারিগরি সহয়তা প্রদান করছে। বাগেরহাটের রামপাল, মংলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা প্রশিক্ষণ নিয়ে লাভজনক এই চাষে এগিয়ে আসছে।

চাষিরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে চিংড়িতে মড়ক ও ভাইরাস এবং পক্ষান্তরে কাঁকড়া চাষে এই ধরনের ঝুঁকি না থাকায় এই চাষ লাভজনক। কাঁকড়া চাষে লাভজনক এই প্রদর্শনী খামার দেখে এলাকার অনেক চাষিরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খাচায় কাঁকড়া চাষ মোটাতাজাকরণ বেশি লাভজনক বলে জানান চাষিরা।

জেলার রামপাল উপজেলার হুড়কা গ্রামের দীপংকর সাহা বলেন, কয়েক বছর ধরে চিংড়িতে মড়ক ও ভাইরাস লাগায় আমাদের মতো অনেক ঘের মালিক চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তবে কাঁকড়া চাষে এই ধরনের ঝুঁকি না থাকায় এই চাষ লাভজনক। গত বছরে পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প পরিসরে চাষ করলেও এবার প্রায় ৫ বিঘা জায়গায় চাষ শুরু করেছি।

চাষি নিমাই কর্মকার বলেন, আমরা উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষের প্রশক্ষিণ নিয়ে অল্প জমিতে চাষ করে লাভবান হয়েছি। ৫২ শতক জমিতে কাঁকড়া চাষ করে তিনগুণ বেশি মুনাফা পেয়েছি। কাঁকড়া চাষে লাভজনক এই প্রদর্শনী খামার দেখে এলাকার অনেক চাষিরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

রামপাল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন ঘোষ জানান, মাটি ও পানি কাঁকড়া চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে কাঁকড়া ও কুচিয়া মোটাতাজা করণ চাষ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী খামার স্থাপনের পর এক বছরের ব্যবধানে বর্তমানে চাষির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১শ’। আমরা ঘের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের সহযোগিতা দিয়ে চাষিদের কাকঁড়া চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। গত অর্থবছরে রামপাল উপজেলায় প্রায় হাজার মেট্রিকটন কাঁকড়া উৎপাদন হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরে এই উৎপাদন দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়ার চাষে ঝুঁকছে চাষিরা

আপডেট টাইম : ১২:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের বাজারসহ ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁকড়ার চাহিদা বাড়ায় বাগেরহাটে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়ার চাষ। দেশের সাদা সোনা হিসেবে পরিচিতি চিংড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রপ্তানির তালিকায় ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে উপকূলীয় এলাকার জলজ প্রাণি কাঁকড়া। লাভজনক ও মৃত্যুর ঝুঁকি না থাকায় কাঁকড়া চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে চাষিরা।

সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় প্রদর্শনী কাঁকড়া খামার স্থাপন হওয়ায় অনেক চাষি চিংড়ি চাষ ছেড়ে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছে। মৎস্য বিভাগ প্রদর্শনী খামারগুলোতে খাঁচায়, পেনে ও কিশোর নামের তিন ধরনের কাঁকড়া চাষে কারিগরি সহয়তা প্রদান করছে। বাগেরহাটের রামপাল, মংলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা প্রশিক্ষণ নিয়ে লাভজনক এই চাষে এগিয়ে আসছে।

চাষিরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে চিংড়িতে মড়ক ও ভাইরাস এবং পক্ষান্তরে কাঁকড়া চাষে এই ধরনের ঝুঁকি না থাকায় এই চাষ লাভজনক। কাঁকড়া চাষে লাভজনক এই প্রদর্শনী খামার দেখে এলাকার অনেক চাষিরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খাচায় কাঁকড়া চাষ মোটাতাজাকরণ বেশি লাভজনক বলে জানান চাষিরা।

জেলার রামপাল উপজেলার হুড়কা গ্রামের দীপংকর সাহা বলেন, কয়েক বছর ধরে চিংড়িতে মড়ক ও ভাইরাস লাগায় আমাদের মতো অনেক ঘের মালিক চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তবে কাঁকড়া চাষে এই ধরনের ঝুঁকি না থাকায় এই চাষ লাভজনক। গত বছরে পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প পরিসরে চাষ করলেও এবার প্রায় ৫ বিঘা জায়গায় চাষ শুরু করেছি।

চাষি নিমাই কর্মকার বলেন, আমরা উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষের প্রশক্ষিণ নিয়ে অল্প জমিতে চাষ করে লাভবান হয়েছি। ৫২ শতক জমিতে কাঁকড়া চাষ করে তিনগুণ বেশি মুনাফা পেয়েছি। কাঁকড়া চাষে লাভজনক এই প্রদর্শনী খামার দেখে এলাকার অনেক চাষিরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

রামপাল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন ঘোষ জানান, মাটি ও পানি কাঁকড়া চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে কাঁকড়া ও কুচিয়া মোটাতাজা করণ চাষ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী খামার স্থাপনের পর এক বছরের ব্যবধানে বর্তমানে চাষির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১শ’। আমরা ঘের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের সহযোগিতা দিয়ে চাষিদের কাকঁড়া চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। গত অর্থবছরে রামপাল উপজেলায় প্রায় হাজার মেট্রিকটন কাঁকড়া উৎপাদন হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরে এই উৎপাদন দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছি।