ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন বি.এ.ডি.সি’র এর স্বল্পমূল্য সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৩৭৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলনবিলে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি.এ.ডি.সি) এর স্বল্পমূল্য সেচ সুবিধা মিলছে না কৃষকদের।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি.এ.ডি.সি) পাবনা,নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার (পানাসি) প্রকল্পের আওতায় কয়েকশ কোটি টাকা ব্যয়ে গভীর নলকুপ চালু করলেও একটি সিন্ডিকেটের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে কারণে সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা।

এ বছর বোরো মৌসুমের শুরুতেই চলনবিলের তাড়াশ উপজেলায় বি.এ.ডি.সি এর পানাসি প্রকল্পের আওতায় ৬৫টি গভীর নলকুপের সেচে কৃষকদের কাছ অতিরিক্ত হারে অর্থ আদায় করছে।

সরজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্বল্পমূল্য সেচ সুবিধা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি.এ.ডি.সি) এর পানাসি প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ৬৫টি গভীর নলকুপ রয়েছে।

সমবায়ের ভিত্তিতে এই সব গভীর নলকুপ পরিচালনা করার নিয়ম থাকলেও পরিচালনা করেন কয়েকজন ব্যক্তি। কাগজ কলমে নলকুপের ম্যানেজার হিসাবে যে ব্যক্তি নাম থাকে তিনি ডিপ মেশিনের মালিক হিসাবে পরিচয় দান করেন।

সেচের জন্য মোট খরচের আনুপাতিক হারে (বিঘা প্রতি) কৃষকদের কাছ অর্থ নেওয়ার নিয়ম থাকলেও ৩/৪গুন হারে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ প্রদান করলেও কোন প্রতিকার মিলছে না জানান কৃষকরা। উপজেলার সদরের কৃষক আব্দুল হক জানান তার জমি সেচের জন্য গভীর নলকুপের ম্যানেজার বিঘা প্রতি ২হাজার টাকা হারে অর্থ নিচ্ছে।

উপজেলা আড়ংগাইল গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার ও দোগাড়ীয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দস, নুরুল আমিন জানান, বিঘা প্রতি ৫শত টাকা পানি খরচ হলেও ২ হাজার টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। তারা অভিযোগ কওে জানান পানাসি প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলীকে সেচ সুবিধা আওতায় সেচ খরচের টাকা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করে প্রতিকার পাননি।

উপজেলা পানাসি প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহমান জানান, অতিরিক্ত হারে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন-এসব নিয়ে লিখে কিছু লোকের পেটে লাথি দিয়েন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদের সভায় উপজেলা পানাসি প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলীকে পানি সেচে বিঘা প্রতি খরচের হার নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছে কিন্তু হার নির্ধারণ না করার ফলে অতিরিক্ত হারে টাকা আদায় করার সুযোগ পাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন বি.এ.ডি.সি’র এর স্বল্পমূল্য সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০২:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলনবিলে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি.এ.ডি.সি) এর স্বল্পমূল্য সেচ সুবিধা মিলছে না কৃষকদের।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি.এ.ডি.সি) পাবনা,নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার (পানাসি) প্রকল্পের আওতায় কয়েকশ কোটি টাকা ব্যয়ে গভীর নলকুপ চালু করলেও একটি সিন্ডিকেটের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে কারণে সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা।

এ বছর বোরো মৌসুমের শুরুতেই চলনবিলের তাড়াশ উপজেলায় বি.এ.ডি.সি এর পানাসি প্রকল্পের আওতায় ৬৫টি গভীর নলকুপের সেচে কৃষকদের কাছ অতিরিক্ত হারে অর্থ আদায় করছে।

সরজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্বল্পমূল্য সেচ সুবিধা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি.এ.ডি.সি) এর পানাসি প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ৬৫টি গভীর নলকুপ রয়েছে।

সমবায়ের ভিত্তিতে এই সব গভীর নলকুপ পরিচালনা করার নিয়ম থাকলেও পরিচালনা করেন কয়েকজন ব্যক্তি। কাগজ কলমে নলকুপের ম্যানেজার হিসাবে যে ব্যক্তি নাম থাকে তিনি ডিপ মেশিনের মালিক হিসাবে পরিচয় দান করেন।

সেচের জন্য মোট খরচের আনুপাতিক হারে (বিঘা প্রতি) কৃষকদের কাছ অর্থ নেওয়ার নিয়ম থাকলেও ৩/৪গুন হারে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ প্রদান করলেও কোন প্রতিকার মিলছে না জানান কৃষকরা। উপজেলার সদরের কৃষক আব্দুল হক জানান তার জমি সেচের জন্য গভীর নলকুপের ম্যানেজার বিঘা প্রতি ২হাজার টাকা হারে অর্থ নিচ্ছে।

উপজেলা আড়ংগাইল গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার ও দোগাড়ীয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দস, নুরুল আমিন জানান, বিঘা প্রতি ৫শত টাকা পানি খরচ হলেও ২ হাজার টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। তারা অভিযোগ কওে জানান পানাসি প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলীকে সেচ সুবিধা আওতায় সেচ খরচের টাকা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করে প্রতিকার পাননি।

উপজেলা পানাসি প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহমান জানান, অতিরিক্ত হারে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন-এসব নিয়ে লিখে কিছু লোকের পেটে লাথি দিয়েন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদের সভায় উপজেলা পানাসি প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলীকে পানি সেচে বিঘা প্রতি খরচের হার নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছে কিন্তু হার নির্ধারণ না করার ফলে অতিরিক্ত হারে টাকা আদায় করার সুযোগ পাচ্ছে।