সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরবরাহ বাড়ায় কমে এসেছে পেঁয়াজের দাম। কিন্তু দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের চেয়ে তুলনামুলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভারত থেকে আমদানীকৃত বড় পেঁয়াজ। আজ শুক্রবার রাজধানীর হাতিরপুল, কারওয়ানবাজার, মোহাম্মদপুর ও শান্তিনগরসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় দেশে উৎপাদিত ছোট পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে। অন্যদিকে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ভারত থেকে আমদানী করা বড় পেঁয়াজ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে একরকম বাধ্য হয়ে দাম কমিয়েছেন তারা। আমদানি বাড়ায় কমে এসেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম।

উল্লেখ্য, দেশে তিন দফা বন্যা ও পেঁয়াজ আমদানির প্রধান বাজার ভারতে বন্যায় পেঁয়াজের চাষ ব্যাহত হওয়ায় আশ্বিন মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। এরপর দফায় দফায় বেড়ে দেশি পেঁয়াজের দাম পৌঁছায় কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় সেসময়।

মসলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা এবং রসুন ১২০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মশুরের ডাল কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আজ শুক্রবার।

এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছে সবজির দাম। ফুলকপি ৩০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, খিরা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, বেগুন (কালো) ৫০ টাকা, বেগুন (সাদা) ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মটরশুটি ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আজ। এদিকে গত সপ্তাহের মতো আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে।

এদিকে আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ২৫০-৩০০ টাকা, চিংড় ৫০০ টাকা, চাষের কই ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা, দেশী ছোট শিং মাছ ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতিটি ইলিশ বিক্রি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

আজকের মাংসের বাজারে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি আগের সপ্তাহের সঙ্গে। গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আজ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর