রোহিঙ্গাদের খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে দাতা সংস্থাগুলোর আগ্রহ হ্রাস পাওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই মানবিক সংস্থাটি বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের খাওয়ানোর ব্যাপারে দাতা সংস্থার আগ্রহ কমে যচ্ছে। তবে, আমরা জাতিসংঘের ব্যবস্থার আওতায় দাতা সংস্থার মধ্যে এই আগ্রহটা ধরে রাখতে রাখতে চেষ্টা করছি। কিন্তুু, এটি চালিয়ে যাওয়া ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়ছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালকের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডেভিড বিসলেকে উদ্ধৃত করে একথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ডব্লিওএফপি বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, গত ছয় মাসে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের খাবার বিতরণ করেছে ডব্লিউএফপি।
ডব্লিউএফপি’র পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী তিনি বলেন, প্রতি মাসে রোহিঙ্গাদের খাবার সরবরাহ করতে ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন পড়ে।
শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরেকটি বিষয়য়ের প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী পরিচালক- সেটি হচ্ছে, বর্ষকালে বাংলাদেশের যেস্থানে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে সেখানে ভূমিধসের সৃষ্টি হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজন হলে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে ভাসানচর এলাকায় স্থানান্তর করা হবে।
ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী পরিচালক রোহিঙ্গ ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রচারণার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে ইতোমধ্যেই দু’বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেছি।
তিনি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন ডব্লিউএফপি মনে করে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত অত্যাচারের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। বাসস
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর