হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের সবার কাছে কম দামে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, পৃথিবীতে সবচেয়ে কম দামে যেন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। এই লড়াই আমার একার নয়, আপনাদেরও।
আজ বুধবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে কম্পিউটার সিটি সেন্টারে (মাল্টিপ্ল্যান) পাঁচ দিনের ‘ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার’-এর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘আমি সবসময় ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলি, এটা সত্যি। পৃথিবীতে নিচের দিক থেকে সবচেয়ে কম দামে ইন্টারনেট ব্যবহার করা দেশের মধ্যে দ্বিতীয়তে আছি আমরা। ২০০৮ সালে ১ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ২৭ হাজার টাকা। আমি শেষ যে ফাইলে সই করেছি তাতে এর মূল্য ছিল ৩১০ টাকা। সরকারের পক্ষ থেকে এর চেয়ে বড় ছাড় দেওয়া কঠিন। সমস্যাটা হলো—সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর সুফল এখনও জনগণের কাছে পৌঁছায়নি।
এছাড়া তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আপনাকে দুটি বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একটি হলো, ইন্টারনেটের মূল্য কমানো। অন্যটি ইন্টারনেটে সবাইকে নিরাপদ রাখা। আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, আমি বিষয় দুটি আন্তরিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, সবার কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া ও ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে ইনফো সরকার ১ ও ২ বাস্তবায়িত হয়েছে। এবার ইনফো সরকার ৩-এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৮ সালের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হতে পারে। এই প্ল্যাটফর্ম তৈরি হলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম আরও কমবে বলে মনে করেন তিনি।
কম্পিউটার সিটি সেন্টারের সভাপতি তৌফিক এহেসান বলেন, বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। চলমান ধারা অব্যাহত রাখা গেলে ২০১৮ সালে রপ্তানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১ সালে রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।
ডিজিটাল আইসিটি মেলায় বিশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গেমিং জোন এবং আকর্ষণীয় নানা আয়োজন। মেলা চলাকালে প্রবেশ টিকিটের ওপর র্যাফেল ড্র হবে। মেলার টিকিটের দাম ১০ টাকা। শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে ঢুকতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি আলী আশফাকসহ প্রমুখ।