বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে হলেও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মহিলা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সরকারের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান। মহিলা দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। মহিলা দলের সভানেত্রী নূরে আরা সাফার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে ক্ষমতাসীনরা নির্বাচন দিলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতাতো দূরের কথা তারা (আওয়ামী লীগ) বিরোধী দলেও থাকতে পারবে না।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করে গয়েশ্বর বলেন, তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানের সঙ্গে আপনি (শেখ হাসিনা) দেশের যেকোনো আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দেখুন আপনি নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেন কিনা। আপনার চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হবে জাইমা।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের চোখ শিক্ষার্থীদের ওপর পড়েছে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বলেন, সংসদে বড় বড় বাজেট পাস করে শিক্ষার্থীদের ভ্যাট বৃদ্ধি করেছেন অর্থমন্ত্রী। কারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারলে নিজেদের কমিশনটা বেশি হবে।
সারাবিশ্বে তেল ও গ্যাসের মূল্য ৩ ভাগের এক ভাগ মন্তব্য করে বিএনপির অন্যতম নীতিনির্ধারক গয়েশ্বর বলেন, যেখানে বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাসের বাজার মূল্য কমে তিন ভাগের একভাগ হয়েছে; সেখানে বাংলাদেশে তেল ও গ্যাসের মূল্য প্রতিনিয়ত বাড়ানো হচ্ছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেলেও পরিবহনের ভাড়া বাড়বে না। কিন্তু এরপরও পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি অবিলম্বে তেল ও গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি পরিবহনের ভাড়া কমানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
আওয়ামী লীগ মুখে বড় বড় কথা বললেও ভেতরে ভেতরে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ভেতরে ভেতরে দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো জনসমর্থন নেই।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আজ থেকে কয়েক দিনের মধ্যে আমি রাজধানীর ৫২টি থানায় ও প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১০ জন করে রাজপথে মহিলা নেত্রী দেখতে চাই। আপনারা এই কাজ করতে ব্যর্থ হলে মহিলা দলের কমিটি দেওয়া হবে না।