তামাকের বিকল্প হিসেবে তুলা চাষ ব্যাপক লাভজনক কৃষকরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্ষতিকর তামাক চাষ বর্জন করে তুলা চাষের আহবান জানালেন বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. ফরিদ উদ্দীন। শনিবার মেহেরপুরের গাংনীর ধানখোলা মাঠে তুলা ক্ষেত পরিদর্শন ও মাঠ দিবসে উপরোক্ত আহবান জানান তিনি।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া জোন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডক্টর ফরিদ উদ্দীন আরো বলেন, দেশের গার্মেন্টস খাতে ৬০-৭০ লাখ বেল তুলা প্রতি বছর বাইরের দেশ থেকে আমদানী করতে হয়। যার বাজার মূল্য ২০ হাজার কোটি টাকা। তবে আশার কথা হচ্ছে- প্রতি বছর আমাদের দেশে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে এগুতে থাকলে আমরা এক সময় তুলা আমদানীর সমস্ত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে পারবো।

তামাকের বিকল্প চাষ হিসেবে তুলার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর তামাক চাষ প্রবণ এলাকা। কিন্তু সেখানে আজ তুলা চাষ হচ্ছে। তুলা চাষ লাভজনক ও লোকসানের ভয় খুবই কম। তুলা উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষ সম্প্রসারণ করছে। একই সাথে কম আয়ুস্কালের তুলা চাষের পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে চাষীরা একই জমিতে বছরে তিনটি ফসল ফলাতে পারেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তুলা উন্নয়ন বোর্ড যশোর অঞ্চলের উপ পরিচালক জাফর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক ড. গাজী গোলাম মোতর্জা। বক্তব্য রাখেন তুলা উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেন দেবাশিষ, গাংনীর সাবেক ইউনিট অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ, গাংনী ইউনিট ইনচার্জ মেহেরুল ইসলাম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, ধানখোলা কটন ইউনিট অফিসার এরশাদুল হক ও বিশিষ্ট তুলা চাষী মোস্তাক আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন এলাকার তুলা চাষীবৃন্দ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর