হাওর বার্তা ডেস্কঃ গ্রাহকপর্যায়ে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশান ক্লাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতের নীতিমালাগুলো সময়োপযোগী ও শিল্পখাতকে সম্পৃক্ত করে তৈরি করা হবে। মন্ত্রী বলেন, নীতিসংক্রান্ত বিষয়ে সচিবকে গত রোববার সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন অবিলম্বে শিল্পখাতকে সংশ্লিষ্ট করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
তিনি বলেন, আমি মনে করি ইন্টারনেট মানেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। ইন্টারনেট ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে না। ইন্টারনেট এখন মানুষের মৌলিক অধিকার। এ পঞ্চম মৌলিক অধিকারটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করার কথা বলেন। গ্রামে ও শহরের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচের কোনো পার্থক্য থাকবে না। মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর অর্থমন্ত্রী এ দাবির বিষয়ে কিছু না বললেও এবার ইন্টারনেট থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইএসবিএপির সাধারণ সম্পাদক এমাদাদুল হক। সংগঠনটির পক্ষে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন এর সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবির সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান মঞ্জু, বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুব্রত সরকার শুভ্র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন আহমেদ, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের পরিচালক মুহম্মদ আরিফ এবং কামাল হোসাইন। অনুষ্ঠানে বেসিস, বিসিএস, বাক্য, সিকোয়াব এবং ই-ক্যাবের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার গৃহীত প্রথম ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনায় এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী এবং গ্রাহকদের সত্যিকার চাওয়ার প্রতিফলন ঘটেছে। আপনার কর্মপরিকল্পনায় স্বল্প খরচে দেশব্যাপী ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেওয়া; দেশীয় সফটওয়্যার বাজারকে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের রাহুমুক্ত করা এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় বাংলা কনটেন্টের ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি ভূমিসহ সরকারি সব সেবার ডিজিটাইজেশনের যে তিনটি অগ্রাধিকার আপনি নির্ধারণ করেছেন, তা মূলত আমাদের সবার সামগ্রিক আকাক্সক্ষারই প্রতিফলন। আইএপিএবি সভাপতি মন্ত্রী ঘোষিত প্রথম ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এইএসপিএবির পক্ষ থেকে পদ্ধতিগত ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কিছু সমস্যা এবং এ বিষয়ে কিছু সংস্কারেরর প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।