ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গন্তব্যে আরো ১২টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রেলের বহরে আরো ২৫টি ইঞ্জিন ও ১৩৮টি কোচ জোড়া হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদের এমপি মঈন উদ্দিন খান বাদলের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
তার অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-রামু কক্সবাজার এবং দোহাজারী-রামু-গুনদুম পর্যন্ত ট্রেন লাইন স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে এডিবি অর্থায়নের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। প্রকল্পটি অতি তাড়াতাড়ি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, কর্ণফুলি নদীর ওপর কালুখারী ব্রিজ নির্মাণের জন্য কোরীয়ান সরকার অর্থ দেবার কথা জানিয়েছে। তারা রেলসেতুসহ সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণের জন্য অর্থায়ন করবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
নূরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যানজট কমাতে এবং যাত্রীদের সুবিধার্থে ঢাকা চট্টগ্রাম দ্রুতগামী বুলেট ট্রেন চালানোর প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ জন্য চায়না রেলওয়ে গ্রুপ অব কোম্পানি ও চায়না সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম দ্রুতগামী ট্রেন চালাতে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, রেলওয়ে এরই মধ্যে ৪৪টি ইঞ্জিন বিদেশ থেকে আমদানি করেছে। আগামী জানুয়ারিতে ভারতের এলওসি ঋনে ১২০টি বগি ও এডিবির ঋণে ইন্দোনেশীয়া থেকে ১৫০টি বগি আসবে। জানুয়ারিতে এর প্রথম কিস্তি আমাদের হাতে পৌঁছাবে। এসব ইঞ্জিন ও বগি এসে গেলে যাত্রীরা আরো বিশেষ সুবিধা পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, যানজট নিরসনে রেলওয়ে দেশের বিভিন্ন রুটে কমিউটার ট্রেন চালাচ্ছে। ঢাকা-টঙ্গি ৩য় ও চতুর্থ লেন এবং ঢাকা- জয়দেবপুর ডাবল লাইন করার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়বে। এতে ঢাকা শহরের যানজট কিছুটা লাঘব হবে।