ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এলাকাটি বরাবরই সংঘর্ষপ্রবণ। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এখানে প্রায়ই দুই দলের মধ্যে ঘটে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা। এবার ঘটলো এমনই একটি ঘটনা। মাত্র একটি টাকার জন্য সংঘর্ষ হলো গতকাল সোমবার এবং আজ মঙ্গলবার। এতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পুলিশের তিন কর্মকর্তা ও তিন সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
জানা যায়, সোমবার রাত নয়টার দিকে সৈয়দটুলা চকবাজারের সাত্তার মিয়ার (৩০) দোকানে মুঠোফোনে ১০ টাকা ফ্লেক্সিলোড করতে যান একই গ্রামের মনির হোসেন (৩০)। এ সময় সাত্তার মিয়া অতিরিক্ত এক টাকা দাবি করেন। মনির হোসেন এক টাকা দিতে গড়িমসি করতে থাকেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পর উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সোমবারের ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে সাড়ে পাঁচটার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন আবার দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সরাইল থানার ওসি মো. আলী আরশাদ, উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম, এস আই মশিউর রহমান, এস আই রবিউল ইসলাম, এ এস আই মহিউদ্দিন, সদস্য জালাল উদ্দিন, রবিউল ইসলাম ও মোজাম্মেল হকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ লাঠিপেটা করে, পাঁচটি কাঁদানে গ্যাস ও পাঁচটি রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষের সময় সাত্তার মিয়ার দোকানসহ বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আরশাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান ওসি।