হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি মৌসুমে বড় ধরনের ফলন বিপর্যয়ে পড়েছেন নওগাঁর আলু চাষিরা। এরই মধ্যে ব্যাপকহারে আলু তোলা শুরু হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। কারণ আলুর গায়ে দাগ আর পচন দেখা যাচ্ছে, সঙ্গে ফলনও হয়েছে অনেক কম। কৃষি বিভাগের দাবি বন্যা আর বৃষ্টির প্রভাবই এমনটি হয়েছে।
কৃষকরা জানান, এ বছর জেলায় কাঁঠিলাল, হলেন্ডারসহ প্রায় ৬ জাতের আলু চাষ হয়েছে। কিন্তু ক্ষেত থেকে আলু তোলার পর আলুর গায়ে কালো দাগ আর পচন দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এ মৌসুমে বিঘাপ্রতি সাধারণত ৬০ মণ আলু হওয়ার কথা। কিন্তু তা কমে গড়ে ফলন হচ্ছে ৩০ মণ পর্যন্ত। এমন জমিও আছে যেগুলোতে বিঘাপ্রতি ১০ মণ আলু উৎপাদন হয়েছে।
গত মৌসুমে এ অঞ্চলের যেসব কৃষক কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখেছিলেন লোকসানের কারণে তাদের বেশিরভাগই এখনও আলু বের করতে পারেননি। কারণ ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আলু রাখার জন্য কৃষকদের খরচ দিতে হয় ৭শ‘ টাকা। কিন্তু এখন আলু নিতে গেলে দিতে হবে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। যার বিপরীতে বাজারে আলুর দাম প্রতি মণ সাড়ে ৬’শ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ এ অবস্থায় আলু নিতে গেলে লোকসান হবে সাড়ে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত।
মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি গ্রামে আলু চাষি হাওর বার্তাকে জানান, মোট তিন বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এ বছর আলুতে লাভ হবে না। বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ মণ আলু উৎপাদনের আশা করা হলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। একে তো আলুর ফলন কম তারপর আবার গায়ে দাগ আর পচন দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এবার আলুতে খুব লোকসান হবে। এভাবে যদি প্রতি বছর আলুতে লোকসান হয়। তাহলে চাষিরা আর আলু চাষ করতে পারবে না।