হাওর বার্তা ডেস্কঃ জয়পুরহাট জেলায় চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও ঘনকুয়াশা থেকে বোরো ধানের চারা রক্ষা করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বোরো ধানের চারা ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। জেলায় এবার ৩ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৫০ হেক্টর জমি। এ পর্যন্ত ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলায় দশমিক ৩৩ হেক্টর জমির বোরো ধানের চারা নষ্ট হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে কৃষি বিভাগ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে বোরো চারা থাকায় রোপণে কোন সমস্যা হবে না বলে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা জানান।
ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ থেকে বোরো বীজতলা রক্ষায় কৃষি বিভাগের গৃহীত পদক্ষেপেরে মধ্যে রয়েছে দিনের বেলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা, বীজতলা পানি দিয়ে ডুবে রাখা ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ, সকালে বীজতলার চারার উপরের শিশির রশি দিয়ে ঝেড়ে ফেলা, ছাই ছিটানো, পটাশ ও জিপসাম সার ব্যবহার ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা।
এ সম্পর্কিত লিফলেট হাতে কৃষি কর্মকর্তা, সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক তদারকি করছেন বলে জানান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম। খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০১৭-১৮ বোরো চাষ মৌসুমে ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে জমিতে থাকা আলু তোলার পরেই শুরু হবে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম।